অর্ণব দাস, বারাসত: কাজের গাফিলতির অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই বিডিও সঙ্গে মতবিরোধ চলছিল পঞ্চায়েত সমিতির। এবার বৈঠকে টেন্ডার নিয়ে বচসার জেরে বিডিওকে চূড়ান্ত হেনস্তা করার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে। দিন কয়েক আগে হাবড়া ২ নম্বর ব্লক অফিসের তৃণমূল নেতার এহেন আচরণ প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে জেলা প্রশাসন।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই কাজে গাফিলতির অভিযোগে হাবড়া ২ নম্বর ব্লকের বিডিও সীতাংশু শেখর শিটের সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের বিরোধিতা চলছিল। এ নিয়ে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগও জানানো হয়েছিল। এরই মধ্যে গত বুধবার টেন্ডার নিয়ে ডাকা বৈঠকের মধ্যেই বিডিওর সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রতন দাসের তুমুল কথা কাটাকাটি বাঁধে। সেই সময়ই বৈঠক কক্ষে বিডিওকে লক্ষ্য করে জলের বোতল ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। তুলকালাম এই ঘটনা প্ৰথমে প্রকাশ্যে না আসলেও শনিবার বিষয়টি জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
[আরও পড়ুন: তাজপুরে রেঞ্জারকে ‘হুমকি’: অখিল গিরিকে গ্রেপ্তারের দাবি বিজেপির, নিন্দায় সরব কুণাল ঘোষও]
এবিষয়ে বিডিওর কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রতন দাস জলের বোতল ছোড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, "সাত-আটটি প্রকল্প নিয়ে টেন্ডার কমিটির বৈঠক ছিল। বিডিওর কাজে গাফিলতির জন্য উন্নয়নের কাজ থমকে রয়েছে, একথা বলতেই উনি দুর্ব্যবহার করে আমাকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এনিয়ে তর্ক বাঁধলে রাগের মাথায় জলের বোতলটি সরিয়ে রাখতে গেলে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের গায়ে গিয়ে পড়ে।" জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ এসেছে। কী কারনে এই সমস্যা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দলীয় নেতার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ প্রসঙ্গে বারাসতের সাংসদ তথা বারাসত সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার জানিয়েছেন, "আমি ছিলাম না। শুনেছি একটা সমস্যা হয়েছে। সরকারিভাবেই এটা দেখা হবে, তাই জেলাশাসক বিষয়টি দেখছেন। তবে জেলাশাসক আমাকে বলেছেন বিডিওর বিরুদ্ধেও অনেক অভিযোগ আছে।"