সৌরভ মাজি, বর্ধমান: তৃণমূল বুথ সভাপতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূ্র্ব বর্ধমানের জামালপুর। বর্ধমান-মেমারি রোডে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। জ্বালানো হয় টায়ার। আটকে পড়ে একাধিক গাড়ি। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে পরিস্থিতি।
জানা গিয়েছে, মৃত তৃণমূলের বুথ সভাপতির নাম গৌতম ঘোষ। বয়স ৪৮। জামালপুরের বৃষ্ণবাটি গ্রামে থাকতেন তিনি। তৃণমূল নেতার ছেলে আকাশ জানান, মঙ্গলবার রাত ১১ টা নাগাদ তাঁর বাবার একটি ফোন আসে। তারপরই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। আর বাড়ি ফেরেননি। রাতে এলাকায় খোঁজখবর করেও কোনও লাভ হয়নি। পরে বুধবার সকালে পাশের গ্রাম বসন্তবাটির মসজিদতলার কাছে একটি আমগাছে গৌতমের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বর্ধমান-মেমারি রোডে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। জ্বালানো হয় টায়ার। ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
[আরও পড়ুন: নিমতিতা বিস্ফোরণ কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়, CID’র জালে এক বাংলাদেশী]
স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই দলবদলের জন্য গৌতমকে চাপ দিচ্ছিল বিজেপি। তাতে গুরুত্ব না দেওয়ায় খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি বিজেপির। পুলিশ জানিয়েছে, ”এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। আত্মঘাতী হয়েছেন ওই তৃণমূল (TMC) নেতা? নাকি খুন করা হয়েছে তাঁকে? দ্রুতই জানা যাবে।” উল্লেখ্য, নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির ছবি প্রকাশ্যে আসছে। আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূল-বিজেপি উভয় দলের কর্মীরা। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। মঙ্গলবার রাতেই গুলি করে খুন করা হয়েছে মালদহের এক তৃণমূল কর্মীকে।