সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হনুমানের নিত্য নতুন পরিচয় নিয়ে সরগরম দেশের ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ মহল। কেউ বলছেন তিনি মুসলমান ছিলেন, কেউ বলছেন হিন্দু। তৎক্ষণাৎ সে তত্ত্ব নাকচ করে অন্য কেউ বলছেন তিনি দলিত ছিলেন, পালটা তারপরই প্রতিবাদে রুখে উঠছে আরও একদল। এবার সেই বিতর্কে নাম জড়াল চেতন চৌহানের।
প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং উত্তরপ্রদেশের ক্রীড়ামন্ত্রী চেতন চৌহান দাবি করলেন, “হনুমান একজন ক্রীড়াবিদ, কুস্তিগির ছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “হনুমানজি কুস্তি লড়তেন৷ ভারতের সব পালোয়ানরাই হনুমানজির পুজো করেন। আমিও তাঁর পুজো করি৷ তাই হনুমানের জাত বা ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই। বরং তিনি একজন খেলোয়াড় ছিলেন৷” এহেন মন্তব্য ভাল চোখে দেখছেন না ভক্তেরা৷ এই নিয়ে চলছে তুমুল চর্চা৷
হনুমানকে দলিত বলে বিপাকে যোগী, পেলেন আইনি নোটিস
হনুমানকে দলিত বলায় আইনি নোটিসের মুখোমুখি হতে হয়েছে উত্তরপ্রদেশ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ তার কয়েকদিন পরেই আবারও যোগীর মন্ত্রিসভার সদস্য চৌধুরি লক্ষ্মীনারায়ণ দাবি করেন, “হনুমান একজন জাঠ ছিলেন। তাই কোথাও কারও উপর কোনওরকমের অবিচার তিনি সহ্য করতেন না।” সেই বক্তব্যের পরেও ওঠে সমালোচনার ঝড়৷ সেই ঝড় থামতে না থামতেই আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি কাউন্সিলর বুক্কাল নবাব৷ তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি হনুমান মুসলমান ছিলেন। এই কারণেই হনুমানের সঙ্গে মিলিয়ে মুসলমানদের নাম রাখা হয় রমজান, ফরমান, কুরবান। এই সমস্ত নামই হনুমানের সঙ্গে মিলে যায়।” তাঁর বক্তব্য নিয়েও সমালোচনা কম হয়নি৷
‘হনুমান মুসলমান ছিলেন’, বিতর্কে বিজেপি নেতা
হনুমানের পরিচয় নিয়ে এহেন একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যে আপত্তি রয়েছে ভক্তদের একাংশের৷ অযোধ্যার নির্মোহী আখড়ার মহন্ত রামদাস জানিয়েছেন, “ঈশ্বরের বিরুদ্ধে এমন অসম্মানজনক মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। রাজনৈতিক মুনাফার লোভে ঈশ্বরের নাম টেনে নিয়ে আসছেন রাজনীতিকরা।” তাঁর মতো একই সুরে সুর মিলিয়েছেন মহন্ত রাজু দাস৷ তাঁরও বক্তব্য, “জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে বিপুল সংখ্যক মানুষ পুজো করেন হনুমানকে। তাঁকে নিয়ে রসিকতা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”
The post ‘হনুমান একজন ক্রীড়াবিদ ছিলেন’, চেতন চৌহানের মন্তব্যে বিতর্ক appeared first on Sangbad Pratidin.