সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটি চিনা লোন অ্যাপ (China Loan App) থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সময় মতো শোধ করতে পারেননি। সেই কারণে নিয়মিত হুমকি দিচ্ছিলেন ঋণপ্রদানকারী সংস্থার এজেন্টরা। এই পরিস্থিতি চরম সিদ্ধান্ত নিলেন বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। নিজের বাড়িতেই আত্মঘাতী হলেন তিনি। মৃত কলেজ পড়ুয়ার বাবা চিনা ঋণপ্রদানকারী সংস্থার এজেন্টদের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তাঁর কথায়, ছেলেকে আত্মঘাতী হতে বাধ্য করা হয়েছে। পড়ুয়ার ঘর থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বেঙ্গালুরুর জালাহল্লির বাসিন্দা মৃত ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার নাম তেজস। তেজসের বাবা গোপীনাথ জানিয়েছেন, ছেলে ‘স্লাইস অ্যান্ড কিস’ নামের এক চিনা সংস্থার থেকে ঋণ নিয়েছিল। শোধ করতে পারছিল না। টাকা চেয়ে নিয়মিত ওই সংস্থার এজেন্টরা ফোন করতেন। পরবর্তীকালে তা মাত্রা ছাড়ায় বাড়ি এসে হুমকি দেওয়া শুরু করে ওই অ্যাপের এজেন্টরা। গোপীনাথের দাবি, ঋণের টাকা শোধ না করলে তেজসের ব্যক্তিগত ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেন চিনা ঋণপ্রদানকারী সংস্থার এজেন্টরা।
[আরও পড়ুন: বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রই বাদ! রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদ নিয়ে সওয়াল মোদির]
ঋণের বিষয়টি জানতে পেরে গোপীনাথ ছেলের ঋণ শোধ করবেন বলে জানান। এর জন্য কিছু দিন সময় চান। যদিও এজেন্টরা সময় দিতে রাজি হননি। তাঁরা তেজসকে নিয়মিত ফোন করে হেনস্তা করত বলে অভিযোগ। অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন কলেজ পড়ুয়া। মঙ্গলবার নিজের ঘরে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। মেল সংক্ষিপ্ত সুইসাইড নোটও। সেখানে তেজস লেখে, “মা ও বাবা, আমি যা করেছি তার জন্য দুঃখিত। এছাড়া আমার আর কোনও উপায় ছিল না। আমি ঋণ পরিশোধ করতে পারছি না। এটাই আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত… বিদায়।” ঘটনার তদন্তে নামলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।