স্টাফ রিপোর্টার: বিদেশের মাটিতে বল হাতে ভেলকি দেখিয়েছেন বহুবার। ক্রিকেট মাঠে রক্ষা করেছেন ভারতকে। ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও সেই অভ্যাস বদলায়নি হরভজন সিংয়ের(Harbhajan Singh)। সুদূর ওমানে এক ভারতীয় তরুণীর বিপদের কথা জানতে পেরে হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি তিনি। বরং সেদেশের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই তরুণীকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছেন আম আদমি পার্টির এই সাংসদ।
পাঞ্জাবের ওই তরুণীর নাম কমলজিৎ। ভাতিন্ডার বারকান্ডি গ্রামে বাড়ি বছর একুশের এই তরুণীর। সম্প্রতি স্থানীয় এক এজেন্টের মাধ্যমে রাঁধুনি হিসেবে ওমানে (Oman) যান তিনি। কমলজিতের বক্তব্য, “আমাকে প্রথম বলা হয়েছিল, ওমানে এক হিন্দিভাষী ভারতীয় পরিবারে রান্নার কাজ করতে হবে। সেখানে ভাল কাজ করলে সিঙ্গাপুর বা অস্ট্রেলিয়ার পাঠানো হবে।” তবে ওমানে পৌঁছানোর পর পরিস্থিতি বদলে যায় বলে অভিযোগ কমলজিতের। তিনি বলেন, “মাসকাটে (Muscat) পৌঁছানোর পর আমাকে একটি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আমার পাসপোর্ট এবং সিম কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়। কোনওভাবে একটি স্থানীয় সিম কার্ড জোগাড় করে বাড়িতে যোগাযোগ করি। তবে সেটা জানাজানি হওয়ায় আমাকে মারধরও করা হয়।”
[আরও পড়ুন: নাসিম শাহের দুই ছক্কায় আফগানিস্তানকে হারাল পাকিস্তান, এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিল ভারত]
বিষয়টি নিয়ে জগশির সিং নামে ওই এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন কমলজিতের বাবা সিকন্দর সিং। মেয়েকে দেশে ফেরানোর জন্য ওই এজেন্ট আড়াই লক্ষ টাকাও নেন বলে অভিযোগ সিকন্দরের। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরও কাজ না হওয়ায় এলাকার এক আপ (AAP) নেতার মাধ্যমে হরভজন সিংয়ের দ্বারস্থ হন তিনি। সময় নষ্ট না করে ওমানের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ভাজ্জি। এরপরই ওমানে ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকরা কমলজিতকে উদ্ধার করে দেশে ফেরান।
[আরও পড়ুন: কুয়ালালামপুরের বিরুদ্ধে হার, এএফসি কাপেও স্বপ্নভঙ্গ মোহনবাগানের]
যদিও এই বিষয়ে যাবতীয় কৃতিত্ব ওমানের ভারতীয় দূতাবাসের কর্তাদের বলেই দাবি করছেন ভাজ্জি। তিনি বলছেন, ওমানের ভারতীয় দূতাবাস এবং রাষ্ট্রদূত অমিত নারাংয়ের (Amit Narang) সাহায্য ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না। আমি শুধু নিজের কাজটা করছিলাম। আমার রাজ্যসভার আসনটা মানুষকে সাহায্য করার জন্যই। আর এই দেশের এক মেয়ে বিদেশে গিয়ে বিপদে পড়েছিল। তাই আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি।