সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী পরামর্শদাতা তথা জেডিইউ নেতা প্রশান্ত কিশোরকে (Prashant Kishor) চিনতেই চাইলেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি (Hardeep Puri)। সম্প্রতি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই প্যাক। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনী প্রচার সংক্রান্ত একটি সভায় হরদীপ পুরিকে এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, “কে প্রশান্ত কিশোর? এমন তো কাউকে চিনি না।” বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রশান্ত কিশোর পালটা দিলেন, “আমি তো সাধারণ মানুষ। কতজনই আছেন আমার মতো। নেতামন্ত্রীরা চিনবেন না সেটাই স্বাভাবিক।” তৃণমূলের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের এই বুদ্ধিদীপ্ত জবাবে মজেছে রাজনৈতিক মহল।
হরদীপ সিং পুরি আসলে প্রশান্ত কিশোরকে পাত্তাই দিতে চাইছেন না। তাঁর ভাবখানা এমন যেন, প্রশান্তের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে কোনও প্রভাব ফেলবে না। তাই তিনি নিজেদের জোটসঙ্গী জেডিইউ-এর সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিকে চিনতেই চাননি। আসলে, এনআরসি এবং সিএএ ইস্যুতে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক এখন সাপ ও নেউলের মতো। তাই, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নির্বাচন কৌশলীকে চিনতে অস্বীকার করবেন এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু নিজেদের শরিক দল জেডিইউয়ের শীর্ষস্থানের নেতা এবং একসময় যে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন, তাঁকে চিনতে অস্বীকার করছেন কেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? এ প্রশ্নের উত্তরে পুরি বললেন, “হয়তো আমার ওঁকে চেনা উচিত। কিন্তু, ব্যক্তিগতভাবে চিনি না।”
[আরও পড়ুন: CAA নিয়ে বিক্ষোভের মাঝেই বিহারে প্রকাশ্যে খুন কংগ্রেস ]
হরদীপ পুরির এই মন্তব্যের কথা যখন পিকে জানতে পারলেন, তখন তাঁর প্রতিক্রিয়া রীতিমতো চমকপ্রদ এবং শ্লেষাত্মক। হরদীপ পুরিকে তিনি কটাক্ষের সুরে বিঁধে বললেন, “ও একজন বর্ষীয়ান মন্ত্রী। আমার মতো সাধারণ মানুষকে কী করেই বা চিনবেন। আমার মতো কত মানুষ দিল্লি-বিহার উত্তরপ্রদেশে থাকেন। তাঁদের কষ্ট পেতে হয়, লড়াই করতে হয়। হরদীপ পুরির মতো নেতামন্ত্রী আমাকে কী করে চিনবেন!”
The post ‘কে প্রশান্ত কিশোর? চিনি না তো’, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কটাক্ষের চমকপ্রদ জবাব দিলেন পিকে appeared first on Sangbad Pratidin.