সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর 'টুয়েলভথ ফেল'-এর মতো সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন। এবছর 'দ্য সাবরমতী রিপোর্ট' নিয়ে তুমুল হইচই। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সিনেমা দেখলেন সোমবার। এমন পরিস্থিতিতে আচমকা অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিক্রান্ত মাসে। তাতেই তুমুল হইচই। কীভাবে অভিনেতা মাত্র ৩৭ বছর বয়সেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন? সেই কৌতূহল অনুরাগী মহলে। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত অভিনেতা হর্ষবর্ধন রানেও।
নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া 'হাসিন দিলরুবা' সিনেমায় বিক্রান্ত মাসে ও তাপসী পান্নুর সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন হর্ষবর্ধন। সেই কথা মনে করিয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে অভিনেতা বলেন, "ও (বিক্রান্ত) অত্যন্ত স্বচ্ছ ও স্থির ভাবনাচিন্তার মানুষ। কাজের প্রতি ওঁর নিষ্ঠাকে আমি সম্মান করি। 'হাসিন দিলরুবা'র শুটিংয়ের সময় ওঁর দিকে তাকিয়ে থাকতাম। ও যেন ঠিক আমির খান স্যরের মতো আবার সিনেমার জগতে ফিরে আসে। এঁরা দারুণ শিল্পী আর আমাদের দেশের সিনেমায় এঁদের মতো মানুষের প্রয়োজন। আমি প্রার্থনা করছি যাতে এটা কোনও সাজানো পিআর অ্যাক্টিভিটি হয় যা ওকে কোনও প্রযোজকের কথায় করতে হয়েছে।"
বিক্রান্তের অভিনয় কেরিয়ার শুরু ২০০৭ সালে। ধারাবাহিকের নাম ‘ধুম মাচাও ধুম’। তবে ২০০৯ সালের ‘বালিকা বধূ’ সিরিয়াল থেকেই নজর কাড়েন সবচেয়ে বেশি। এরপর ছোটপর্দায় একের পর এক ধারাবাহিক। ‘গুমরাহ’, ‘কুবুল হ্যায়’, ‘ইয়ে হ্যায় আশিকি’। ঠিক এই সময় বলিউড থেকে ডাক। ২০১৩ সালে প্রথম ছবি ‘লুটেরা’। ২০১৩ থেকে ২০২৪। বিক্রান্ত খুব অল্প সময়ের মধ্যে দর্শক থেকে সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছেন। পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কারও। ঝুলিতে ২২ টি বলিউড ছবি।
অবসর ঘোষণা করে বিক্রান্ত ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ‘গত কয়েক বছরের এই সফর সত্যিই অসাধারণ। এভাবে পাশে থাকার জন্য আপনাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে যত অগ্রসর হচ্ছি, বুঝতে পারছি যে, এবার ঘরে ফেরার সময় হয়েছে। নিজেকে নতুন করে গড়ে তোলার সময় হয়েছে। একজন স্বামী কিংবা বাবা হিসেবে বা একজন অভিনেতা হিসেবেও। তাই ২০২৫ সালে আমরা শেষবারের জন্য একবার দেখা করব। যতক্ষণ না সময় সঠিক সময় আসবে।’ সেই পোস্টেই অভিনেতার সংযোজন, ‘শেষ ২টো সিনেমা এবং আরও কত স্মৃতি। সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ সবকিছুর জন্য। চিরকাল ঋণী থাকব।’