স্টাফ রিপোর্টার : সবরমতীর পাড়ে একেবারে ঝাঁ-চকচকে রাস্তা। জায়গাটার নাম রিভারফ্রন্ট। আমেদাবাদ শহরটাই বেশ জনপ্রিয় জায়গা। আইপিএলে নিজেদের অভিষেক বছরেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর হুডখোলা বাসে এই রাস্তা দিয়েই ঘুরেছিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়ারা (Hardik Pandya)। লোকেদের আবেগ-অভ্যর্থনায় ভেসে গিয়েছিলেন হার্দিক-শুভমান গিলরা। শহরটা ভীষণভাবে আপন করে নিয়েছিল হার্দিকদের। ঘরের মাঠেই রবিবার প্রথম ম্যাচে নামছে গুজরাত টাইটান্স (Gujarat Titans)। হার্দিক পাণ্ডিয়াও থাকছেন। তফাতের মধ্যে তিনি আর গুজরাত জার্সিতে টস করতে নামবেন না। নামবেন মুম্বই জার্সিতে। সেটা যে হার্দিকের কাছে বড় একটা চ্যালেঞ্জের হতে চলেছে, তা বলাই যায়।
গত দশবছরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সাফল্যের কাণ্ডারি ছিলেন যিনি সেই রোহিত শর্মাকে সরিয়ে এবার হার্দিককে ক্যাপ্টেন করেছে মুম্বই। ভারতীয় ক্রিকেটমহলে কারও কারও মতে, গুজরাত থেকে নাকি হার্দিক এসেছিলেনই সেই শর্তেই-তাঁকে অধিনায়ক করতে হবে। রোহিতকে সরিয়ে হার্দিককে অধিনায়ক করার পর কম তো বিতর্ক হয়নি। সমালোচনার টর্নেডো আছড়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর ফলোয়ার হারাতে হয়। সমর্থকদের বেশির ভাগ একটা অংশ রোহিতকে ক্যাপ্টেন থেকে সরানোর ব্যাপারটা মানতে পারছিলেন না। ফলে মাঠের বাইরের অদৃশ্য একটা চাপ যে হার্দিকের উপর থাকবে, সেটা সহজেই অনুমেয়। যদিও হার্দিক সে’সব নিয়ে ভাবতে চান না। বরং যত বেশি সম্ভব নিজেদের ফুরফুরে রাখার চেষ্টা করছেন। আমেদাবাদে প্র্যাকটিস-পর্বের মাঝেও দেখা গেল হার্দিককে খোশমেজাজে থাকতে। প্রাক্তন সতীর্থদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পরই বেশ খানিকক্ষণের
আড্ডা চলল।
[আরও পড়ুন : ‘ও নিজেই বল চেয়ে নিয়েছিল’, শেষ ওভারের নায়ক হর্ষিতের প্রশংসা ‘নায়ক’ রাসেলের]
তবে রবিবাসরীয় ম্যাচে আবহটা একেবারেই বন্ধুত্বপূর্ণ হবে না, সেটা চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়াই যায়। বরং জসপ্রীত বুমরা বনাম শুভমান গিলদের ক্রিকেটীয় যুদ্ধটা যে ভালরকম উত্তাপ ছড়াবে, সেটা বলে দেওয়া যায়। হার্দিক না থাকায় এবার শুভমানকে ক্যাপ্টেন্সির গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুভমান নিজেও বেশ উত্তেজিত। তবে মহম্মদ সামির অভাব এবার গুজরাতকে ভোগাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। চোটের জন্য পুরো আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছেন সামি। তাঁর পরিবর্ত সন্দীপ ওয়ারিয়রকে নিয়েছে গুজরাত। কিন্তু তা যে কোনওভাবেই সামির পরিপূরক হতে পারে না, সেটা বুঝতে গেলে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার পড়ে না। রশিদ খান রয়েছেন। তুলনায় এবার স্পিন অ্যাটাক অনেক বেশি শক্তিশালী গুজরাতের। মুম্বই পেস অ্যাটাকের অবস্থাও মোটামুটি এক। বুমরা ছাড়া আর কোনও অভিজ্ঞ নাম নেই। গুজরাত নিশ্চিতভাবে এই জায়গাটা কাজে
লাগাতে চাইবে। এতক্ষণ বলাই হয়নি আর একজনের কথা। রোহিত শর্মা। মাঝে শোনা যাচ্ছিল রোহিত নাকি মুম্বই ছাড়বেন। শেষমেশ সেটা হয়নি। কেউ কেউ বলছেন, এবার আর অধিনায়কত্বের বাড়তি চাপ না থাকায় আরও খোলা মনে এবার খেলতে পারবেন রোহিত। সেটা হলে মুম্বইকরকে থামানো গুজরাত বোলিংয়ের কাছে মস্ত বড় চ্যালেঞ্জের হতে চলেছে।