স্টাফ রিপোর্টার: হরিমোহন বাঙুর (Hari Mohan Bangur) বর্তমান কলকাতায়? কানাঘুঁষো শোনা যাচ্ছে বাঙুর নাকি শহরে পা দিয়েছেন। তবুু লাল-হলুদ কর্তাদের সঙ্গে বসার ব্যাপারটা আপাতত বিশ বাঁও জলে। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal) অন্যতম কর্তা শ্রেণিক শেঠ।
ক্লাবকর্তারা আগেই জানিয়ে ছিলেন, হরিমোহন বাঙুর কলকাতায় এলে যাবতীয় সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। সেই এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কর্তা শহরে নাকি হাজির হয়েছেন। অথচ ক্লাবকর্তারা মনে হয় না তাঁর সঙ্গে আলোচনার সুযোগ পাবেন। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানির বক্তব্য খুব পরিষ্কার, হরিমোহনবাবু কেন বসতে যাবেন? তাঁর আইনি পরামর্শদাতারা রয়েছে। তারা পুরো ব্যাপারটা দেখভাল করছে। সেখানে হরিমোহনবাবুর বসার প্রশ্নই আসে না। শুধু তাই নয়, এসসি-র পক্ষ থেকে আগেই ক্লাবকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ১৫ মার্চের মধ্যে চুক্তিপত্রে সই করতেই হবে। নাহলে চুক্তিভঙ্গের দায় নিতে হবে লাল-হলুদ কর্তাদের। সেই নির্দিষ্ট তারিখও পেরিয়ে গিয়েছে। অথচ ক্লাবের পক্ষ থেকে কোনও কিছুই জানানো হয়নি। শ্রেণিক শেঠ তো জানিয়ে দিলেন, “চুক্তিপত্রের ড্রাফট অক্টোবর মাসে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই ড্রাফট সই করে তারা পাঠায়নি।” অথচ কিছুদিন আগে ক্লাবে সভার শেষে জানানো হয়েছিল, ‘ফের আমরা চিঠি দিয়ে পুরো ব্যাপারটা জানতে চেয়েছি। আশাকরি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
[আরও পড়ুন: বিরাট মাস্টারস্ট্রোকেই বাজিমাত, দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ম্যাচ ও সিরিজ জয় ভারতের]
কিন্তু এসসি কর্তৃপক্ষের দাবি, অক্টোবরে ড্রাফট পাঠানোর পর কোনও চিঠি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে কোম্পানিতে আসেনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সামনে চুক্তিতে সাক্ষর হওয়া সত্ত্বেও। শ্রেণিক শেঠের দাবি, “ক্লাব কোনও কথাই রাখেনি। ঠিক ছিল, দু’জন কর্তার নাম বোর্ড অব ডিরেক্টর্সে পাঠাবে। তাও পাঠায়নি। আচ্ছা বলুন তো, আমরা কি ক্লাবের কাছে গিয়েছিলাম না ইস্টবেঙ্গল এসেছিল আমাদের কাছে? আমরা তো চুক্তি অনুযায়ী সবকিছু পালন করেছি। তারা করল না কেন? আরে বাবা আমরা তো ক্লাব গ্রাস করতে যাইনি। ৫০ কোটি টাকা ইতিমধে্য আমরা খরচ করেছি। সামনে একটা পয়সাও আমরা খরচ করব না যদি চুক্তিপত্রে সই করা হয়।” কিন্তু প্রশ্ন হল, ক্লাব যদি চুক্তিপত্রে সই না করে তাহলে খরচ করা ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হবে কী করে? কোম্পানির অভিমত, ক্লাব লাইসেন্স তাঁদের হাতে। অর্থাৎ ক্লাব লাইসেন্স ফেরত নিতে গেলে খরচ করা অর্থ মেটাতে হবে ক্লাবকেই। বোঝা গেল, ইস্টবেঙ্গলকে সহজে ছেড়ে দেবে না এসসি কর্তারা।