সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাথায় হাত বড় রাস্তার পাশের মদ বিক্রেতাদের৷ রাজ্যের লাভও অনেকটাই কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ জাতীয় ও রাজ্য সড়কের ৫০০ মিটারের আওতায় আর থাকবে না কোনও মদের দোকান৷ সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশেই তোলপাড় সারা দেশ৷ আর এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের নেপথ্যে রয়েছে ৪৭ বছরের এই ব্যক্তি৷ নাম হরমন সিধু৷
[মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষায় এবার স্টিয়ারিংয়ে হাত মহিলাদেরই]
হুইলচেয়ারে বসেই এত বড় লড়াই লড়েছেন সিধু৷ নিজে ভুক্তভোগী হয়েছেন, তাই চাননি আর কেউ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হোক৷ ঘটনা ১৯৯৬ সালের ২৪ অক্টোবরের হিমাচল প্রদেশ থেকে চণ্ডীগড়ে ফিরছিলেন সিধু৷ সঙ্গে ছিলেন আরও দুই বন্ধু৷ আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় তাঁদের গাড়ি৷ বাকি দুই বন্ধুর চোট লাগলেও সেরে ওঠেন পরে৷ কিন্তু সিধু বসেছিলেন সামনের সিটে৷ শিরদাঁড়ায় গুরুতর চোট লাগে তাঁর৷ শরীরের ৯০ শতাংশই অকেজো হয়ে যায়৷
[৫৮ বছর পর ভারতীয় দেহরক্ষীর সঙ্গে দেখা করে আপ্লুত দলাই লামা]
দাঁড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে জীবনের মূল্য বুঝতে পারেন সিধু৷ আর এই মূল্য বাকিদের বোঝানোর তাগিদ পেয়ে বসে তাঁকে৷ সেই কারণেই ২০০৬ সালে ‘অ্যারইভসেফ’ নামে একটি সংস্থা খোলেন তিনি৷ ২০১১ সালে সবার প্রথমে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে তিনি জাতীয় সড়কগুলিতে মদ বিক্রির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন৷ ২০১৪ সালের মার্চে হাই কোর্ট জাতীয় ও রাজ্য সড়কে মদ বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব দেয়৷ কিন্তু লাভের কথা মাথায় রেখে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা দুই রাজ্য বলে, শুধুমাত্র জাতীয় সড়কগুলিতেই মদ বিক্রি বন্ধ হওয়া উচিত৷ এতে সন্তুষ্ট ছিলেন না সিধু, এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি৷ তাঁর সেই আবেদনের ভিত্তিতেই আজ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন হচ্ছে৷ জাতীয় ও রাজ্য সড়কগুলির ৫০০ মিটারের মধ্যে মদ বিক্রির দোকান প্রায় সবই বন্ধ হয়েছে৷ খুলেছে পথ নিরাপত্তার নতুন দিশা৷
[মাছ ধরতে ব্যাগে গ্রেনেড, বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার জওয়ান]
The post জানেন, দেশের প্রধান সড়কগুলিতে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ হওয়ার জন্য দায়ী কে? appeared first on Sangbad Pratidin.