সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে স্বস্তি! ফাঁড়া কাটিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ (Haryana Minister Anil Vij)। করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার দু’সপ্তাহের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হয়। বুধবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন। টুইট করে নিজে সেই খবর জানিয়েছেন অনিল ভিজ।
এদিন টুইটারে তিনি লেখেন, “আমাকে আজ মেদান্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়া হচ্ছে। বাড়িতে অক্সিজেন সাপোর্টে থাকব।” উল্লেখ্য, ডিসেম্বর মাসের পাঁচ তারিখ করোন আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ছিল বলে খবর।
[আরও পড়ুন : নতুন স্ট্রেন নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই দেশে বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ, স্বস্তি করোনাজয়ীর সংখ্যায়]
কোভ্যাক্সিনের (Covaxine) তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলাকালীন গত ২০ নভেম্বর টিকার প্রথম ডোজ নেন। কেবল রাজ্যের মন্ত্রী বলেই নন, হরিয়ানায় তিনিই প্রথম ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিনের ডোজ নিয়েছিলেন। পরে তিনি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সিভিল হাসপাতালে ভরতি হতে হয়েছিল ভিজকে। সেখান থেকে শনিবার রোহতকের PGIMS হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছিল তাঁর উপরে। কিন্তু অসুস্থতা বাড়ায় ১৬ ডিসেম্বর গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে।
করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও তাঁর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে প্রশ্ন উঠছিল এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে। পরে তিনি জানান, তিনি করোনা আক্রান্ত হওয়া মানেই এমন নয়, যে ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিন কার্যকরী নয়। ভিজের দাবি ছিল, “ভারত বায়োটেক আমাকে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, এই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রথম ডোজের ২৮ দিন পর নিতে হয়। এবং দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পর তৈরি হয় অ্যান্টিবডি। একমাত্র সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করার পরই করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।” তবে তিনি কোনও নিয়ম ভাঙেননি বলেও দাবি করেছিলেন ভিজ। তারপরেও কীভাবে সংক্রমিত হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে।