সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্ভয়া কাণ্ডের চার ধর্ষকের আইনজীবীকে মনে আছে নিশ্চয়ই। ফাঁসি আটকাতে কত ছলাকলায় না করিয়েছিলেন তিনি। কখনও প্রাণভিক্ষা, কখনও পরিবারের স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন, কখনও অভিযুক্তকে নাবালক দাবি করা। যদিও হাজার চেষ্টার পরও নির্ভয়ার ধর্ষকদের বাঁচাতে পারেননি তিনি। সেই অজয় প্রকাশ সিংই (AP Singh) এবার মামলা লড়বেন হাথরাস কাণ্ডের (Hathras rape case) চার অভিযুক্তের হয়ে। শোনা যাচ্ছে, এ পি সিংকে এই মামলার দায়িত্ব দিতে চলেছে অখিল ভারত ক্ষত্রিয় মহাসভা।
এর আগে নির্ভয়ার ধর্ষকদের হয়ে মামলা লড়া নিয়ে এপি সিংকে বহু বিতর্ক, বহু সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কিন্তু তিনি তাতে দমে না গিয়ে একপ্রকার নির্লজ্জের মতো চার ধর্ষকে বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। যত রকমভাবে সম্ভব আইনি পথ অবলম্বন করে ধর্ষকদের ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এবার হাথরাসের ক্ষেত্রেও যে তিনি সেটাই করবেন, তা হয়তো বলাটাই বাহুল্য। কিন্তু কেন বারবার ঘৃণ্য অপরাধে দুষ্টদের হয়ে মামলা লড়েন তিনি? এ পি সিংয়ের সাফাই, ভারতের সংবিধান দেশের প্রত্যেক নাগরিককে আইনি সহায়তা পাওয়ার অধিকার দেয়। তিনি বলছেন, প্রত্যেক অভিযুক্তেরই অধিকার আছে নিজের পছন্দের আইনজীবী বেছে নেওয়ার। আর এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হবে না। এ পি সিংয়ের এই মামলা লড়ার সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছেন নেটিজেনরা। নেটদুনিয়ায় অনেকেই তাঁকে ‘নির্লজ্জ’ আখ্যা দিচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: ‘এই ধরণের মহিলাদের দেহ খেতেই পাওয়া যায়’, হাথরাস কাণ্ডে BJP নেতার মন্তব্যে বিতর্ক]
শোনা যাচ্ছে, নির্ভয়ার ধর্ষকের আইনজীবীকে হাথরাস মামলা লড়ার জন্য বেছে নিয়েছে অখিল ভারতীয় ক্ষত্রিয় মহাসভা নামের উচ্চবর্ণের এক সংগঠন। তাঁদের দাবি, হাথরাসের দলিত পরিবার মিথ্যে অভিযোগ এনে তথাকথিত ঠাকুরদের বদনাম করার চেষ্টা করছে। মজার কথা হল, এই অখিল ভারত ক্ষত্রিয় মহাসভার প্রধান রাজা মানবেন্দ্র সিং আবার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনিই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এ পি সিংকে এই মামলার দায়িত্ব দেওয়ার। চাঁদা তুলে মামলা লড়ার জন্য প্রচুর টাকাও জোগাড় করেছে ওই সংঠনটি।