সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাথরাস কাণ্ডে অবশেষে সক্রিয় পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর প্রথম গ্রেপ্তারি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন জানাল, এই ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জনের মধ্যে ২ জন মহিলা এবং ৪ জন পুরুষ। ওই ৬ জনই সৎসঙ্গের 'সেবাদার' অর্থাৎ স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন। ঘটনার পরই পালিয়ে যান এই ৬ জন।
হাথরাসের (Hathras Stampede) ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে একের পর এক বেনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ৮০ হাজার জনের জমায়েতে অনুমোদন দিলেও জানা যাচ্ছে, উপস্থিত ছিলেন আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ। আরও অভিযোগ, আয়োজকরা ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টে যেমন সহযোগিতা করেননি তেমনই পদপিষ্টের ঘটনার পরে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, অনুষ্ঠান শেষ হলে একদল বেরিয়ে যেতে চান। বাকি দলটা উলটো স্রোতে হেঁটে এগিয়ে যান বাবার পায়ের ধুলো নিতে। এতেই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। আর তাতেই ঘটে যায় বিপত্তি।
[আরও পড়ুন: ১০ জনপথে মুকেশ আম্বানি, হঠাৎ কেন সোনিয়ার বাড়িতে রিলায়েন্স কর্তা?]
এত কিছুর পরও নাকি এফআইআরে ভোলে বাবার নাম নেই। রয়েছে তাঁর ‘মুখ্য সর্দার’ অর্থাৎ ঘনিষ্ঠ সহকারীর নাম। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ‘মুখ্য সর্দার’ প্রকাশ মাধুকরকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে। তবে এ পর্যন্ত তাঁকে ধরা সম্ভব হয়নি। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ঘোষণা করেছে, ওই মূল অভিযুক্তের সন্ধান দিতে পারলে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কারও দেওয়া হবে। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ১২ বছরের নাবালিকাকে মাদক খাইয়ে গণধর্ষণ! গর্ভবতী হায়দরাবাদের কিশোরী]
উল্লেখ্য, হাথরাসে সৎসঙ্গের অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ১২১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। গোটা ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সেই কমিটিও ইতিমধ্যেই গঠিত হয়েছে।