shono
Advertisement

প্রধান শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিংয়ে স্থগিতাদেশ হাই কোর্টের

কবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ? The post প্রধান শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিংয়ে স্থগিতাদেশ হাই কোর্টের appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 04:43 PM Jan 22, 2019Updated: 04:43 PM Jan 22, 2019

শুভঙ্কর বসু: স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ। যার জেরে প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাই কোর্ট। ২৪ জানুয়ারি থেকে কাউন্সেলিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্যানেল তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগে মঙ্গলবার তা স্থগিত করে দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি শেখর ববি সরাফ।

Advertisement

২০১৭-এ রাজ্যের স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়। এনসিইআরটির নিয়ম অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের এই পরীক্ষা হয়। ফল প্রকাশিত হয় ২০১৮’র জুন মাসে। প্রথমবার ভেরিফিকেশনের পর নোটিফিকেশন জারি হয়। প্রথম তালিকার প্রার্থীদের ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয় ডিসেম্বরে। অভিযোগ, সেসময় থেকেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। প্রথম লটে যাঁদের ভেরিফিকেশনে ডাকা হয়, তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে দ্বিতীয় লটে কাউন্সেলিংয়ে ফের যেতে বলা হয়। প্রার্থীদের একাংশের বক্তব্য, নম্বর কম থাকার কারণেই দ্বিতীয়বার ডাকার ব্যবস্থা হয়। প্রার্থীরা জানাচ্ছেন, কোনওরকম নোটিফিকেশন ছাড়াই তাঁদের ডাকা হয়েছিল বলে পরে ভুল শোধরানো হয়। তবে ততদিনে দ্বিতীয় লটের কয়েকজনের নাম ওঠে তালিকায়। অথচ প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীদের ডাকাই হয়নি বলে অভিযোগ। এই প্রার্থীদের দ্বিতীয় লটে ডাকার কথা থাকলেও, পরে আর কোনও বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়নি। এসবের জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন সাতজন প্রার্থী। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি। সব পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে কাউন্সিলিংয়ে স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন বিচারপতি শেখর ববি সরাফ। জানিয়ে দেওয়া হয়, যোগ্য প্রার্থীদের না ডেকে এই কাউন্সেলিং চলতে পারে না। ১ মাসের জন্য সেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। একইসঙ্গে যোগ্য প্রার্থী বলে যাঁরা মামলা দায়ের করেছেন, তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ তারিখ ছিল প্রধান শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং। আদালতের এই পর্যবেক্ষণের জেরে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া ১ মাস পিছিয়ে গেল।

                         [‘ভয় পেয়েছেন মমতা, তাই রথযাত্রার অনুমতি দেননি’, আক্রমণ অমিতের]

শুধু কাউন্সেলিং পদ্ধতিতে অস্বচ্ছতাই নয়। মামলাকারীদের একাংশের অভিযোগ, এই মুহূর্তে পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়মাবলীও মানা হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষক পদে আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা স্নাতকোত্তর এবং ১০ বছর স্কুলে পড়ানোর অভিজ্ঞতা। এই দুটি শর্ত পূরণ করেছেন, এমন কোনও প্রার্থীই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ্য। অথচ, কম যোগ্যতা নিয়েই স্কুলে পড়ানোর কাজ চলছে। স্নাতকোত্তর না হয়েও শুধুমাত্র দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে পড়ানোর অভিজ্ঞতা থেকে এবং পাশ স্কেল থেকেই অনেকে প্রধান শিক্ষক হয়ে যাচ্ছেন। এটা এনসিইআরটির নিয়মেই আটকায় বলে জানাচ্ছেন প্রার্থীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, এনসিইআরটির নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলছে এই অনিয়ম। এটা কোনওভাবেই মানতে নারাজ তাঁরা। তাই সবমিলিয়ে, রাজ্যে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ আপাতত বিশ বাঁও জলে।

The post প্রধান শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিংয়ে স্থগিতাদেশ হাই কোর্টের appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement