সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংবাদিকের ফোন ছিনিয়ে নেওয়া ও মারধরের ঘটনায় বম্বে আদালত থেকে স্বস্তি পেলেন বলিউডের দাবাং নায়ক সলমন খান (Salman Khan)। মঙ্গলবার বম্বে হাইকোর্টের তরফ থেকে এই ঘটনায় সলমনের নামে জারি হওয়া সমনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে ৫ মে পর্যন্ত । আবার একই মামলায় নিম্ন আদালত ব্যক্তিগতভাবে হাজিরার বিষয়ে ৯ মে পর্যন্ত সলমনকে অব্যহতি দিয়েছে।
২০১৯ সালে সলমন খান এবং তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সাংবাদিক অশোক পাণ্ডে। অশোকের দাবি, সে বছরের এপ্রিল মাসে সাইকেল চালিয়ে মুম্বইয়ের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন সলমন। তাঁর ছবি ও ভিডিও তুলছিলেন তিনি। এতেই বিরক্ত হন অভিনেতা। অনুমতি না নিয়ে কেন তারকার ছবি তুলছেন? এই প্রশ্ন তুলে সলমনের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে মারধর করতে থাকেন। পরে নাকি সলমনও এসে তাঁকে মারধর করেন। অশোকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
তবে সলমনের আইনজীবী আদালতে জানান, সলমন নাকি সাংবাদিককে একটি শব্দও বলেননি । বিচারক সাংবাদিকের আইনজীবীর কাছে প্রশ্ন রাখেন কেন পুলিশের কাছে দায়ের অভিযোগপত্রে সলমনের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই তাঁর মক্কেলের? সাংবাদিকের আইনজীবীর কাছ থেকে সঠিক উত্তর না পাওয়ায় আপাতত সলমনকে স্বস্তি দিয়েছে বম্বে আদালত।
[আরও পড়ুন: আলিয়া-রণবীরের বিয়েতে এলাহি আয়োজন, জানেন অতিথি তালিকায় রয়েছে কাদের নাম?]
অন্যদিকে, ১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় (Blackbuck Poaching Case) সলমন খানের পিটিশন ট্রান্সফার করার অনুমতি দিয়েছে রাজস্থান হাই কোর্ট। অর্থাৎ সেই মামলা সংক্রান্ত সমস্ত কিছু এবার মরু শহরের হাই কোর্টেই হবে। যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলাকালীন কৃষ্ণসার হরিণকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে দাবাং খানের বিরুদ্ধে। বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। অভিযোগ, শুটিং চলাকালীন নিজেই গাড়ি চালিয়ে শিকারে বেরিয়েছিলেন সলমন।