সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলের বোমায় খতম হামাসের বায়ুসেনা প্রধান। এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে ইহুদি দেশটির সেনাবাহিনী। গতকাল থেকেই গাজা ভূখণ্ডে প্রবশ করে অভিযান শুরু করেছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস।
ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘শনিবার হামাসের সদরদপ্তরে আক্রমণ করে ইজরায়েলের বায়ুসেনা। এইখান থেকেই সমস্ত সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালায় জঙ্গিরা। এই হামলায় হামাসের বায়ুসেনার প্রধান মুরাদ আবু মুরাদকে নিকেশ করা হয়েছে।’ এইভাবেই সব শত্রুদের বধ করার হুঙ্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তাঁর হুমকি, “এই তো সবে শুরু।” জানা গিয়েছে, গত শনিবার ইজরায়েলের বুকে হামাস জঙ্গিদের হামলা চালানোর মূল চক্রী ছিল এই জেহাদি।
[আরও পড়ুন: ‘মিশন গাজা’ শুরু করল ইজরায়েল! উদ্ধার বহু পণবন্দির দেহ]
রয়টার্স সূত্রে খবর, হামাসকে হাড়হিম করা হুমকি দিয়ে এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেছেন, “আমাদের শত্রুরা শুধুমাত্র নিজের কর্মের মূল্য চোকাচ্ছে। এটা সবে শুরু। আরও বড় কিছু অপেক্ষা করছে। ইজরায়েলের শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কোনও সীমা মানা হবে না। আমরা কোনওদিন এই ঘটনা ক্ষমা করব না। ইহুদিদের উপর হওয়া এই নির্মম অত্যাচার গোটা পৃথিবীকেও ভুলতে দেব না।”
উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে গাজা ভূখণ্ডে অভিযান শুরু করেছে ইজরেয়েলি সেনাবাহিনী। বহু পণবন্দির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলেও খবর। এই বিষয়ে ইজরায়েলের সেনার মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়াল হাগারি জানিয়েছেন, ইজরায়েলের সেনাবাহিনী ট্যাঙ্কের মাধ্যমে অভিযান চালাচ্ছে প্যালেস্তিনীয় রকেট হামলাকে প্রতিহত করার জন্য। যে যে অঞ্চলে পণবন্দিদের রাখা হয়েছে সেই জায়গাগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: হামাস হামলার দিনক্ষণ জানত সিআইএ! রিপোর্টে বাড়ছে বিতর্ক]
ইজরায়েলের হামলার জবাব দিয়ে গাজায় হামাসের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ইয়াদ আল-বোজোম জানিয়েছেন, “আমরা সকল মানুষকে জানিয়েছি, নিজেদের বাড়িতেই থাকুন, নিজেদের অঞ্চল ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।” ইহুদি দেশটির হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজার বিস্তীর্ণ এলাকা। চারদিকে গোলাগুলির মাঝেও নিজেদের ভিটে ছারতে নারাজ গাজার বাসিন্দা। ভেঙে পড়া বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে এক বাসিন্দা বলেন, “জায়গা ছেড়ে যাওয়ার থেকে মৃত্যু অনেক শ্রেয়।” ইজরায়েলি সেনার আক্রমণে এখনও পর্যন্ত গাজায় মৃত্যু হয়েছে দেড় হাজারের উপর মানুষের।