সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে কিছুতেই থামছে না করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। এহেন পরিস্থিতিতে লাফিয়ে বাড়ছে হাসপাতালে রোগী ভরতির হার। সেই সঙ্গে বাড়ছে স্বাস্থ্যবিমা খাতে দাবি বা ইনসিওরেন্স ক্লেম। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা মেটানোর আবেদন জমা পড়েছে বিমা সংস্থাগুলির কাছে বলে জানা গিয়েছে। এহেন বিপুল অঙ্কের ক্লেমের চাপে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে বিমা কোম্পানিগুলি। ফলে এবার স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম বাড়তে চলেছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: ভারতে বড়সড় নাশকতার ছক! গোপন বৈঠকে জইশ ও ISI কর্তারা]
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পরিসংখ্যান মতে, সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিক শেষে বিমা সংস্থাগুলির লোকসানের হার দাঁড়াবে ১২০ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকা প্রিমিয়ামে তাদের ১২০ টাকা ক্লেম মেটাতে হবে। এই বিপুল চাপের মুখে অক্টোবর থেকেই স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম ৫ থেকে ১০ শতাংশ বাড়তে চলেছে। এই খবরে উদ্বেগ বেড়েছে মধ্যবিত্তের। ইনসিওরেন্স কাউন্সিল সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৩৯ হাজার করোনা রোগী ২ হাজার ৪০ কোটি টাকার ক্লেম জমা করেছেন। শুধু করোনার চিকিৎসার জন্য প্রায় সব সংস্থাই বাজারে এনেছে করোনা কবচ নামে স্বাস্থ্যবিমা। তার ক্লেমও জমা পড়েছে। কাউন্সিল সূত্রে খবর, শহর এলাকায় থাকা হাসপাতালগুলিতে করোনা চিকিৎসার জন্য ক্লেম আসছে রোগী পিছু গড়ে দেড় লক্ষ টাকার মতো। গ্রামীণ এলাকায় তা প্রায় ৮০ হাজার টাকা। আইসিইউ বা আইটিইউতে ভর্তি থাকা সঙ্কটজনক রোগীদের জন্য ক্লেমের হার গড়ে পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকা। এই অঙ্কটা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিমা সংস্থাগুলির অভিযোগ, এক শ্রেণীর বেসরকারি হাসপাতাল মেডিক্লেম থাকলেই অকারণে করোনা চিকিৎসা খরচ একলাফে অনেকটা বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে চাপ বাড়ছে সংস্থার উপর।
এদিকে, করোনা সংকটের ফলে মধ্যবিত্তের কাছে বেশি অঙ্কের স্বাস্থ্যবিমার চাহিদা বাড়ছে, আগে যেখানে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কভার পেলেই অনেকে সন্তুষ্ট হতেন, এবার সেই পরিমাণ প্রায় ২৫ লক্ষ পর্যন্ত চাইছেন তারা। কারণ বয়স ৩০ হলে বার্ষিক ৯ হাজার টাকার প্রিমিয়ামে বেশ মোটা অঙ্কের স্বাস্থ্যবিমা করানো সম্ভব। এবার, বিমা কোম্পানিগুলির মতে। তারা গত বছরের খরচের অনুপাতে প্রিমিয়াম ধার্য করেছিল। কিন্তু করোনা কালে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পালটে গিয়েছে। এবার খরচ বেড়েছে। পাশাপাশি, অনেকেই করোনা কবচ চাইছেন। তাই পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়ে প্রিমিয়াম বৃদ্ধি ছাড়া পথ নেই।