সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী বছর মার্চের মধ্যেই দেশে চলে আসবে করোনার টিকা। এমন আশার কথা আগেই শুনিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। এবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হল, আগামী বছর জুলাইয়ের মধ্যেই ২৫ কোটি ভারতীয়কে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের।
দেশে ইতিমধ্যেই করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫ লক্ষের গণ্ডি অতিক্রম করেছে। আনলক পর্যায়ে বাগে আসছে না সংক্রমণ। এখনও অব্যাহত করোনায় মৃত্যু। এমন পরিস্থিতিতে কবে করোনার ভ্যাকসিন হাতে পাবে ভারত, সেই উত্তরেরই অপেক্ষায় দেশবাসী। রাশিয়া ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলেছে বলে দাবি জানিয়েছে। অক্সফোর্ডের তরফে শনিবারই বলা হয়েছিল বছর শেষেই হয়তো ব্রিটেন হাতে পারে কোভিডের টিকা (Corona Vaccine)। ভারতবাসীকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, এবছর টিকা হাতে আসার সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ ২০২০ সালে কোভিডবিধি মেনে জীবনযাপন ছাড়া কোনও উপায় নেই। তবে ভ্যাকসিন হাতে এলেই যে তা কয়েক দিনের মধ্যেই প্রত্যেকে পেয়ে যাবেন, তেমনটাও যে নয়, সেটাই এবার স্পষ্ট করে দিলেন হর্ষ বর্ধন। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন অর্থাৎ ৪০ থেকে ৫০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ পাবে কেন্দ্র। আর তাতেই ১৩০ কোটির মধ্যে ২৫ কোটি মানুষের করোনার টিকাকরণ সম্পন্ন হবে।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে ‘কালা কানুন’ বাতিল হবে, পাঞ্জাবে কৃষক বিক্ষোভে বললেন রাহুল]
তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বলা হয়েছে, প্রয়োজন অনুযায়ী কাদের এই ভ্যাকসিন আগে দেওয়া হবে, অক্টোবরের মধ্যে তার তালিকা কেন্দ্রের কাছে পাঠাতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান সানডে সংবাদ-এ হর্ষ বর্ধন বলেন, “ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে করোনা যোদ্ধাদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাই কর্মী, আশাকর্মী-সহ যাঁরা করোনা পরিস্থিতিতে লড়াই করে চলেছেন, তাঁদেরই আগে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হবে। ভ্যাকসিন প্রস্তুতির ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি সংস্থাকে পূর্ণ সাহায্য করবে কেন্দ্র।”
দেশে মূলত তিনটি ভ্যাকসিনের কাজ চলছে। যার মধ্যে কোভিশিল্ড মানব ট্রায়ালের ফেজ ২ ও ফেজ ৩-এর মধ্যে রয়েছে। এর আগে সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফে আদার পুনাওয়ালা প্রশ্ন তুলেছিলেন, ভারত কি এক বছরের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডোজের ব্যবস্থা করতে পারবে? কারণ প্রতি মাসে ৩০ কোটি ডোজ এলে তবেই ভারতে প্রত্যেককে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে। এবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানা গেল, জুলাইয়ের মধ্যে ২৫ কোটির বেশি মানুষের ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।