সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক দশক আগেও মূলত পাহাড়ে বেড়াতে গেলেই মোমোর (Momos) সঙ্গে দেখা হত বাঙালির। কিন্তু গত কয়েক বছরে বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। এখন শহর ও শহরতলির অলিগলিতে মোমোর দোকান। বাঙালির অন্যতম সন্ধ্যাকালীন আহার হয়ে দাঁড়িয়েছে মোমো। সেই মোমো খাওয়া নিয়ে ভয় ধরিয়ে দিল দিল্লি এইমস (AIIMS)। এই বিষয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে তারা। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন এইমসের চিকিৎসকরা। সেখানে বলা হয়েছে, মোমো খেতে গিয়ে বড় বিপদ হতে পারে। অতএব, এই খাবার সাবধানে খেতে হবে। কেন একথা বলছেন চিকিৎসকরা?
দিল্লির ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস’-এর চিকিৎসকদের ওই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ‘ফরেন্সিক ইমেজিং’ (Forensic Imaging) নামক এক জার্নালে। সেখানে মোমো কীভাবে খেতে হবে তাও বলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ এই বিষয়ে সতর্কবাণীর প্রশ্ন উঠল কেন ? আসলে ক’দিন আগেই মোমো খেতে গিয়ে মৃত্যু হয় বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তির। ময়নাতদন্ত করে দেখা যায়, ওই ব্যক্তির শ্বাসনালীতে আটকে গিয়েছিল একটি মোমো। এর ফলেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে পুলিশের জানিয়েছিল ওই ব্যক্তি মোমো খাওয়ার সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। সেই সময়ই রাস্তার ধারের একটি স্টল থেকে মোমো খেতে যান। তারপরেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
[আরও পড়ুন: ‘কুকুরের মতো মরবেন মোদি’, কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে বিতর্ক, দায়ের FIR]
ওই ঘটনার কথা মাথায় রখেই মোমো খাওয়া নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে দিল্লি এইমস। এইমসের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মোমো উপরিভাগ পিচ্ছিল। ফলে ওই খাবার গিলে খাওয়ার সময় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই চেবানোর আগেই তা গিলে ফেলে লোকে। তা থেকেই হয় বড় বিপদ। চিকিৎসকদের পরামর্শ, মোমো ভাল করে চিবিয়ে খেত হবে। সাবধানে গিলতে হবে।
[আরও পড়ুন: ‘আমাদের বোকা বানানো হচ্ছে’, ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন সেনায় চাকরিপ্রার্থীরা]
মোমো খাওয়া নিয়ে এইমসের এমন সতর্কতার পরে কি পেটুক বাঙালি তার সন্ধের প্রিয় স্বাদ ছেড়ে দেবে? তেমন ঘটনার সম্ভাবনা নেই। তবে সাবধানের মার নেই, অতএব, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে প্রিয় খাবারের স্বাদ নেওয়া যেতেই পারে।