সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটু রিচ বা ভারী খাবার খেলেই বাথরুমে দৌড়তে হয়! বাড়তে থাকে পেটে অস্বস্তি? দিনে বেশ কয়েকবার পায়খানায় না গেলে আর মনে শান্তি থাকে না! বাড়তে থাকে মানসিক উদ্বেগ। এমনকী প্রতিদিনের জীবনে এ যেন রোজকার ঘটনা। কিন্তু এই রোজকার ঘটনাকে পাত্তা না দিলে পরবর্তীতে ঘটতে পারে বড়সড় বিপদ। কারণ, ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম নামটার সঙ্গে আমরা পরিচিত না হলেও কমবেশি অনেকেই এই রোগে ভুক্তভোগী। ঠিক কী এই রোগ? সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানালেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ বিপ্রেশ চক্রবর্তী।
ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম বা সংক্ষেপে আইবিএস হল এক ধরনের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ডিসঅর্ডার। অন্ত্রের এই সমস্যা কিছুটা মানসিকও বটে। অর্থাৎ অন্ত্রের হজম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ফলে, মস্তিষ্ক থেকে সিগন্যাল এলেই মলত্যাগের বেগ তৈরি হয়। এক্ষেত্রে এমনকী বারবার মলত্যাগের ঘটনাও দেখা দিতে পারে। সাধারণত খাদ্যাভাসে অনিয়ন্ত্রণ ও মশলাদার খাবার-দাবার এই রোগের একটা বড় কারণ। তবে, এর সঙ্গে মানসিক উদ্বেগ, উত্তেজনা বা চাপ অন্ত্রের এই সমস্যাকে সরাসরি প্রভাবিত করতে পারে।
এই রোগের লক্ষণগুলি কী কী?
(১) পেটে ব্যথা বা ক্র্যাম্পিং আইবিএসের একটি সাধারণ লক্ষণ।
(২) কোনও কোনও ক্ষেত্রে ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
(৩) কিছু খাওয়ার পরেই মলত্যাগের বেগ বাড়ে। মলত্যাগের পর পেট ব্যথা কমে যায়।
(৪) পেটে গ্যাসের কারণে অস্বস্তি বা পেট ফাঁপা তৈরি হতে পারে।
(৫) ঘন ঘন অ্যাসিডিটি বা অম্বল দেখা দেয়।
(৬) মাঝেমধ্যেই পেটে ফোলাভাব দেখা দেয়।
কী ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত?
আইবিএস থেকে রেহাই পেতে কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। ফাস্ট ফুড, ভাজাভুজি, চিনি ও গ্লুটান সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন। আটার রুটিও অনেকসময় সমস্যা তৈরি করে। গোলমরিচ, শুকনো লঙ্কা প্রভৃতি খাবেন না। আইবিএস হলে সহজপাচ্য ও হালকা খবার খান।
চিকিৎসা
অন্ত্রের এই সমস্যাকে আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে কেউই খুব একটা পাত্তা দিই না। কিন্তু সমস্যা গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছলে চিন্তার শেষ থাকে না। পেটের সমস্যায় ওষুধ দোকান থেকে বলে ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া প্রথমে বন্ধ করুন। এতে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। তাই, যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
