সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজো আসতে আর কিছুদিন। আর তার আগে নিজেকে নিয়ে কত কী পরিকল্পনা! শপিং-এর পাশাপাশি নিজেকে রোগা করে তোলার মরিয়া প্রয়াস! কিছুই বাদ নেই। হাতে সময় খুব কম। ফলে, দ্রুত ওজন ঝরাতে ইতিমধ্যে খাওয়াদাওয়া ছেড়েছেন কেউ কেউ। ভাবছেন খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিলে কিংবা কম খাওয়াদাওয়া করলে দ্রুত ফ্যাট ঝরিয়ে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠা যাবে। এতে আলাদা করে আর শরীরচর্চাও করতে হবে না। বাড়তি পরিশ্রমের হাত থেকেও বাঁচা যাবে।
তবে, আপনার এই ভ্রান্ত ধারণায় জল ঢেলে দিয়ে চিকিৎসকরা অন্য কথা বলছেন। খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে রোগা হতে চাইলে হিতে বিপরীত ঘটার সম্ভাবনা। কারণ শরীরচর্চা ও উপযুক্ত ডায়েট ছাড়া কখনওই মেদ ঝরানো সম্ভব নয়। বরং উপোস করে শরীরকে কষ্ট দিয়ে রোগা হতে চাইলে শরীরে পড়তে পারে তার কঠিন প্রভাব। এমনকী দিনের পর দিন না খেয়ে থাকলে শরীরে দেখা দিতে পারে একাধিক রোগ। কী কী ঘটতে পারে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
পিত্তথলিতে পাথর: রোগা হওয়ার জন্য খাবার খাওয়া বন্ধ করেছেন? ভালো কথা। কিন্তু শরীর নিয়মমতো খাবার হজমের উৎসেচক ক্ষরণ করে চলেছে। সে তো আর আপনার মতো থেমে থাকবে না। ফলে পাকস্থলীতে জমতে থাকে অতিরিক্ত উৎসেচক। ঠিক একারণে পিত্তথলিতে পাথর দেখা দেয়।
অম্বল ও গ্যাস্ট্রিক: দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকার কারণে পেটে অ্যাসিড তৈরি হতে পারে, যার ফলে অম্বল এবং অন্যান্য গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পুষ্টির ঘাটতি: ওজন কমাতে খাবার খাওয়া বন্ধ করলেই বিপদে পড়বেন। কারণ শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি না পেলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে শুরু করবে। শরীরের শক্তি হ্রাসের ফলে প্রচণ্ড ক্লান্তি ও দুর্বলতা দেখা দেবে। এমনকী পুষ্টির ঘাটতিতে মাথাধরা, বদহজম, ক্লান্তি, গা-বমি ভাব প্রভৃতি দেখা দিতে পারে।
লো-প্রেশার: রোগা হতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া ছাড়লে হঠাৎ করে প্রেশার ফল করতে পারে। খালি পেটে থাকলে শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে যেতে পারে, যার ফলে রক্তের ঘনত্ব কমে রক্তচাপ কমে যায়। এই অবস্থাকে হাইপোটেনশন বলা হয়। এই অবস্থায় অজ্ঞান হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
