সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনেক সময় দেখা যায়, সমবয়সীদের তুলনায় আপনার শিশু উচ্চতায় আর বাড়ছে না। বাবা-মায়ের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। অন্যেরা যেখানে স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বড় হচ্ছে, সেখানে আপনার সন্তান নির্দিষ্ট উচ্চতায় থমকে রয়েছে। অথচ এমন নয় যে খাওয়াদাওয়া বা পুষ্টির অভাব। তাহল? কারণটা কী? চিকিৎসকরা বলছেন, এর নেপথ্যে রয়েছে শরীরের অভ্যন্তরীণ কিছু জটিলতা। বিশেষ করে 'গ্রোথ হরমোন'-এর ঘাটতি।
গ্রোথ হরমোন আসলে কী?
আমাদের মস্তিষ্কের 'পিটুইটারি গ্রন্থি' থেকে এই হরমোন নিঃসৃত হয়। এটি সরাসরি শিশুর হাড় ও পেশির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। শুধু দৈহিক উচ্চতা নয়, শরীরের সার্বিক গঠন ঠিক রাখতেও এর ভূমিকা অপরিসীম।
১. শিশুর উচ্চতা যদি সমবয়সীদের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম হয়।
২. উচ্চতা কম হওয়ার পাশাপাশি শিশু যদি অতিরিক্ত স্থূল বা মোটা হয়।
৩. শারীরিক গঠনে অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে।
৪. এক্ষেত্রে গ্রোথ হরমোনের পাশাপাশি থাইরয়েডের সমস্যা আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
রোগ নির্ণয় ও পরীক্ষা
গ্রোথ হরমোন রক্তে সব সময় এক মাত্রায় থাকে না। তাই এর সঠিক পরিমাণ বুঝতে 'স্টিমুলেশন টেস্ট' করতে হয়। এছাড়া প্রাথমিক স্ক্রিনিং হিসেবে 'IGF1' এবং 'IGF BP3' পরীক্ষা করা হয়। অনেক সময় পিটুইটারি গ্রন্থির অবস্থা বুঝতে মস্তিষ্কের এমআরআই (MRI) করার প্রয়োজন পড়ে।
চিকিৎসা ও প্রতিকার
চিকিৎসকদের মতে, গ্রোথ হরমোনের ঘাটতি থাকলে বাইরে থেকে হরমোন প্রয়োগ করে এর সমাধান সম্ভব। একে বলা হয় 'গ্রোথ হরমোন থেরাপি'। বয়ঃসন্ধি পেরিয়ে গেলে এই চিকিৎসা কাজ করে না। তাই যত কম বয়সে চিকিৎসা শুরু হবে, সুফল তত বেশি। শুধু উচ্চতা বৃদ্ধিতে নয়, টার্নার সিন্ড্রোম, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি সমস্যা বা জন্মের সময় ওজন খুব কম থাকা শিশুদের ক্ষেত্রেও এই থেরাপি কার্যকর।
