সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কালীপুজোয় বাজি পোড়াতে গিয়ে অনেকেই বিপদে পড়েন। অনেক সময় বাজি খারাপ থাকলে, সেটা ফেটে গিয়ে হাতে-পায়ে আগুনের ফুলকি পড়ে। ফলে ত্বকে ফোসকা পড়ে যায়। ক্ষত গভীর হলেও ভয় পেয়ে পরিস্থিতি জটিল করবেন না। চিকিৎসকের কাছে অবশ্যই যান। তবে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হলে ঘরোয়া কিছু টোটকা জেনে নিন।
** ক্ষতস্থানে অনেকেই টুথপেস্ট ব্যবহার করেন। সেটা একদম নৈব নৈব চ! বরং ঠান্ডা জল দিন। বরফ জল হলে আরও ভাল। তবে পোড়া জায়গায় আবার বরফ ঘষবেন না যেন।
** শরীরের কোনও জায়গা বেশি পুড়ে গেলে সেখানে আগে ঠান্ডা জল দিন। তারপর ন্যানো সালফার জাতীয় মলম কিংবা সিলভার সালফা ডায়োজিন প্রয়োগ করুন। এবার একটা গজ লাগিয়ে দিন। এটা হল প্রাথমিক চিকিৎসা। তবে ক্ষত বেশি হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
** পোড়া জায়গায় নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই পদ্ধতি বহুদিনের। কারণ নারকেল তেল ঠান্ডা। তাই কিছুটা হলেও জ্বালাভাব কমবে।
** গজ দিয়ে বেঁধে রাখুন। কারণ খোলা রাখলে, বাজিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক কিংবা বাইরের ধুলোবালি লেগে মারাত্মক সংক্রমণ হতে পারে।
** এবং বিশেষভাবে উল্লেখ্য, বাজি পোড়াতে গিয়ে হাতে-পায়ে বা শরীরের কোনও অংশে ফোসকা পড়লে একদম সেফটিপিন বা পিন জাতীয় কিছু দিয়ে খোঁচাবেন না।
বাজি পোড়ানোর সময় এই সাবধানতা অবলম্বনে ভুলবেন না:
** সুতির পোশাক পরুন। বাড়িতে কোনও খুদে সদস্য থাকলে তাকেও সুতির পোশাক পরান। অবশ্যই পা ঢাকা জুতো পরান।
** বাজি যেথানে পোড়ানো হবে, তার আশেপাশে যাতে দাহ্য পদার্থ না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
** বাজি পোড়ানোর জায়গার কাছে জল রাখুন। যাতে কোনও সমস্যা হলেই ব্যবহার করা যায়।
** আগুন নিয়ে ছেলেখেলা নয়। মজার ছলে কারও দিকে বাজি ছুঁড়বেন না। তাতে সমস্যা হতে পারে।
** ধোঁয়ায় কোনও সমস্যা হলে তড়িঘড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
