সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিমেনশিয়া মানেই শুধু ভুলে যাওয়া নয়। স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার বহু বছর আগেই মস্তিষ্ক কিছু সূক্ষ্ম সংকেত দিতে শুরু করে। 'ল্যানসেট সাইকিয়াট্রি' জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গবেষকরা দীর্ঘ ২০ বছর ধরে প্রায় ৬,০০০ মানুষের ওপর নজরদারি চালিয়ে ডিমেনশিয়ার সঙ্গে মানসিক অবস্থার গভীর যোগ খুঁজে পেয়েছেন।
গবেষণা অনুযায়ী, মাঝ বয়সে (৪০ থেকে ৬০ বছর) নিচের ৬টি লক্ষণ দেখা দিলে ভবিষ্যতে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
১) আত্মবিশ্বাস বা আত্মমর্যাদা কমে যাওয়া।
২) যেকোনও সমস্যা সমাধানে আগের চেয়ে বেশি জটিলতা বোধ করা।
৩) সমাজ বা প্রিয়জনদের কাছ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া।
৪) প্রচণ্ড মাত্রায় উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা অনুভব করা।
৫) প্রতিদিনের সাধারণ কাজেও অতৃপ্তি বোধ করা।
৬) কোনও কাজে মনঃসংযোগ করতে না পারা।
এই লক্ষণগুলো থাকলেই যে ডিমেনশিয়া হবে, তা নয়। তবে এগুলো মস্তিষ্কের যত্নের প্রয়োজনীয়তাকে নির্দেশ করে। জীবনযাত্রা বা বংশগতির বাইরেও এই মানসিক পরিবর্তনগুলো মস্তিষ্কের স্মৃতিহীনতার সংকেত হতে পারে। অনেক সময় আমরা একে সাধারণ ‘স্ট্রেস’ বা বয়সজনিত সমস্যা বলে অবহেলা করি, যা ঠিক নয়।
প্রতিকার ও পরামর্শ
মানসিক অস্থিরতা বা অবসাদ দূর করতে শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। থেরাপি, পর্যাপ্ত ঘুম, পুষ্টিকর খাবার এবং নিয়মিত ব্যায়াম মস্তিষ্ককে সচল রাখে। এখন থেকে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিলে ভবিষ্যতে মস্তিষ্কের জটিল রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। এই সংকেতগুলোকে গুরুত্ব দিলে জীবনের শেষ ভাগে সুস্থ ও সতেজ থাকা সম্ভব।
