সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চশমা। দুচোখের সমস্ত অক্ষমতাকে সরিয়ে রেখে দৃষ্টির স্বচ্ছতা বজায় রাখতে যার জুড়ি মেলা ভার। তবে একথা বোধহয় আর বলা চলে না। কেননা এবার চশমার এক জুড়িদারের দেখা মিলবে এদেশেই। মঙ্গলবারই সে আত্মপ্রকাশ করেছে এদেশের বাজারে। তবে সব সমস্যার সুরাহা তার হাতে নেই। কেবল রিডিং গ্লাসকে অপসারিত করে দিতে পারে এই আই ড্রপ।
মুম্বইয়ের এনটড ফার্মাসিউটিক্যালস তৈরি করেছে PresVu নামের ড্রপটি। প্রেসবায়োপিয়ার (কাছের দৃষ্টির সমস্যা) চিকিৎসায় তা ব্যবহৃত হয়। সাধারণত মধ্য চল্লিশে যে অসুখ হয়। এবং ষাট পেরলে খুবই খারাপ আকার নেয়। DCGI চূড়ান্ত অনুমতি দিয়েছে এটির ব্যবহারে। এর মধ্যে রয়েছে ১.২৫ শতাংশ পাইলোকার্মি হাইড্রোক্লোরাইড। উদ্ভিদনির্ভর এই যৌগটি নানা ধরনের চোখের সমস্যায় দারুণ উপকারে আসে। বিশেষ করে চোখের রক্তচাপ তথা আই প্রেশারের মতো সমস্যায় দারুণ কার্যকরী এই ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে PresVu-র মধ্যে।
এতদিন চশমা (বা কন্ট্যাক্ট লেন্স) অথবা অস্ত্রোপচার ছাড়া চোখের কাছাকাছি দৃষ্টির সমস্যার কোনও সমাধান ছিল না। এবার সেই কাজই করবে এই ওষুধ।
[আরও পড়ুন: কর্তৃপক্ষ চাইলে ইস্তফায় রাজি সিপি! বৈঠকের পর দাবি আন্দোলনকারীদের]
কীভাবে কাজ করবে এই ড্রপ? জানা যাচ্ছে, এক ফোঁটা ড্রপ মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে কাজ শুরু করে দেয়। এবং পরবর্তী ৬ ঘণ্টা তা কাজ করতে থাকে। পরের ড্রপ তিন থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে দিলে তা আরও দীর্ঘ সময় কার্যকরী থাকবে। দাবি করা হচ্ছে, এই ধরনের আই ড্রপ এই প্রথম ভারতে অনুমোদন পেল। যার ব্যবহারে চল্লিশোর্ধ্বদের রিডিং গ্লাস পরার প্রয়োজনীয়তাকে কমাতে সক্ষম। পাশাপাশি এটি চোখের আর্দ্রতাও বাড়ায়। ইতিমধ্যেই এর পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছেন নির্মাতারা।
২০২২ সালে ডিজিসিআইয়ের কাছে আবেদন করেছিল নির্মাতা সংস্থা। সেই সময় তাদের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের কথা বলা হয়েছিল। দেখা যায়, ২৭৪ জন ভারতীয়র মধ্যে ৮২ শতাংশের বেশি জনের চোখে ওই ড্রপ ব্যবহারে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। বাকিদের ক্ষেত্রেও চোখ লাল হওয়া, ঝাপসা দৃষ্টি কিংবা মাথা যন্ত্রণার মতো ক্ষণস্থায়ী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে।