সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ষশেষে দেদার খাওয়াদাওয়া। তাতে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকেই। অনেকেই ভাবেন, ওজন কমাবেন। ভাত, রুটি ছেড়ে শুধুমাত্র স্য়ালাড খেয়ে ওজন ঝরানোর ভাবনাচিন্তা করেন কেউ কেউ। এভাবে ওজন না হয় ঝরল। পরিবর্তে সবরকম খাবার খেতে না পারায় মানসিক অবসাদও তৈরি হয় কারও কারও। তবে পুষ্টিবিদ নুপূর পাতিলের মতে শুধু স্যালাড নয়। বাড়ির সবরকম খাবার খেয়েও রোগা হওয়া সম্ভব। কোন সময়ে কোন খাবার খাওয়া উচিত, পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী রইল সেই টিপস।
প্রাতঃরাশ
পুষ্টিবিদের মতে, প্রাতঃরাশে দু'টি ডিম, মাল্টিগ্রেন টোস্ট, সিদ্ধ করা সবজি খেতে হবে। তার সঙ্গে অবশ্যই খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে ২০০ গ্রাম দই এবং ১০ গ্রাম মিক্সড সিডস। দ্রুত ওজন ঝরাতে চাইলে যেকোনও রকমের মরশুমি ফলও রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়।
মধ্যাহ্নভোজ
মধ্যাহ্নভোজ যেন প্রোটিন সমৃদ্ধ হয় সেদিকে খেয়াল রাখতেই হবে। এক কাপ ভাত, সঙ্গে ১২০ গ্রাম ওজনের মাছ অথবা মাংস, লেবুর রস দেওয়া স্যালাড খেতে পারেন। যাঁরা নিরামিষাশী তাঁদের মাছ, মাংসের বদলে পরিমাণমতো সবজি খেতে হবে। ভাতের বদলে চাইলে ২টি হাতে গড়া রুটিও খেতে পারেন।
নৈশভোজ
সারাদিনের শেষবারের ভারী খাবার হল নৈশভোজ। ডায়েট করলে অনেকেই ভাবেন রাতে শুধুমাত্র স্যুপ খেয়ে থাকতে হয়। তবে পুষ্টিবিদ নূপুরের মতে, শুধু স্য়ুপ খাওয়ার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। পরিবর্তে দু'টি রুটি এবং সবরকম সবজি মিশ্রিত তরকারি খেতে পারেন। খাওয়া যেতে পারে পনির, দু'টি ডিম, গ্রিলড ফিশ।
* ডায়েট করা মানেই যে মিষ্টির স্বাদ থেকে বঞ্চিত থাকতে হবে, তা একেবারেই নয়। নিজে হাতে তৈরি করা মাগ কেক এবং বানানা কেক খেতে পারেন। তবে খুব বেশি মিষ্টি যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
টানা এভাবে কয়েকদিন খাওয়াদাওয়া করলেই কমবে ওজন। আত্মবিশ্বাসী পুষ্টিবিদের মতে, এমন খাওয়াদাওয়ায় সর্বোচ্চ ৩০ কেজি পর্যন্ত ওজন কমতে পারে। তাই নতুন বছর থেকে নিজের খাদ্যতালিকায় আনুন বদল। আর হয়ে উঠুন সকলের ঈর্ষার কারণ।
