সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রিসমাস উপলক্ষে অনেকেই নিজের ঘরবাড়ি সাজান। বাড়ির খুদে সদস্যদের জন্য রঙিন টুনি, সান্তাক্লজ, স্টার, কাগজে মোড়া উপহার আর ক্রিসমাস ট্রি দিয়ে সেজে ওঠে ঘর-বারান্দা। অরনামেন্টস আর আলোকমালায় ঝলমলিয়ে ওঠে ক্রিসমাস ট্রি। এই সজ্জা ছোটদের তো বটেই, বড়দেরও আহ্লাদী করে তোলে। তবে এই খুশির আমেজ আচমকাই ফিকে করে দিতে পারে ‘ক্রিসমাস ট্রি সিনড্রোম’।
এটি একটি বিশেষ ধরনের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা। বাড়ির ক্রিসমাস ট্রি থেকেই এই অ্যালার্জি ছড়ায়। আপনি যদি অনবরত হাঁচি বা কাশিতে ভোগেন, তবে বুঝবেন এর পেছনে আপনার সাধের গাছটির ভূমিকা থাকতে পারে।
সমস্যার মূল কারণ কী?
চিকিৎসকদের মতে, জ্যান্ত কনিফেরাস বা পাইন জাতীয় গাছে প্রচুর পরিমাণে মোল্ড স্পোর থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঘরের ভেতর গাছ রাখার চার দিন পর থেকেই বাতাসে ছত্রাকের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। এ ছাড়া এই গাছ থেকে টারপিন নামক রাসায়নিক নিঃসৃত হয়, যা অনেকের শরীরে অস্বস্তি তৈরি করে। আবার কৃত্রিম গাছেও বিপদ কম নয়। স্টোর রুমে জমে থাকা ধুলোবালি ও ডাস্ট মাইটস অ্যালার্জির প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
লক্ষণগুলি চিনে নিন
১. অনবরত হাঁচি ও নাক দিয়ে জল পড়া।
২. চোখে অস্বস্তি, চুলকানি বা চোখ লাল হয়ে যাওয়া।
৩. শুকনো কাশি বা গলায় খুসখুস করা।
৪. ত্বকে লাল রঙের র্যাশ বা চুলকানি।
৫. শ্বাসকষ্ট বা বুক ধড়ফড় করা।
কাদের ঝুঁকি বেশি?
যাঁদের আগে থেকেই অ্যাজমা, সিওপিডি বা ঋতু পরিবর্তনের অ্যালার্জি আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই সিনড্রোম ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। শীতের কুয়াশা আর ধুলোবালি মিলে তৈরি হওয়া স্মগ ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে অ্যালার্জেনগুলো দ্রুত আক্রমণ করে।
সুরক্ষিত থাকার উপায়
গাছ পরিষ্কার করা: জ্যান্ত বা কৃত্রিম— যে কোনও গাছ সাজানোর আগে ভালো করে ধুয়ে বা ঝেড়ে ধুলো ও ছত্রাক মুক্ত করুন।
অরনামেন্টস পরিষ্কার: গত বছরের সাজসজ্জার জিনিস ব্যবহারের আগে মাস্ক পরে সেগুলি মুছে নিন।
এয়ার পিউরিফায়ার: ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন।
সতর্কতা
অ্যালার্জি খুব বেশি হলে হাত ঢাকা পোশাক পরুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিহিস্টামিন বা নেজাল স্প্রে সঙ্গে রাখুন। উৎসব হোক আনন্দময়। সকলে সচেতন থাকুন, সুস্থ থেকে বড়দিন উপভোগ করুন।
