অভিরূপ দাস: দু'মাসও বাকি নেই পুজোর। তার মধ্যেই নাদুসনুদুস থেকে একদম সিক্স প্যাক! জিমে গিয়ে হৃতিক রোশনের মতো পেটানো চেহারা করার স্বপ্ন দেখছে জেন জেড। সেখানেই ঘটছে বিপত্তি! অল্প সময়ে অসংযত শরীরচর্চা করতে গিয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে উনিশ-কুড়ি। যেমনটা হয়েছে বছর ষোলোর শুভাঞ্জন দাসের (নাম পরিবর্তিত)।
চটজলদি মাত্রাছাড়া এক্সারসাইজ করতে গিয়ে বিপত্তি ডেকে এনেছিল দশম শ্রেণির পড়ুয়া। সম্প্রতি বাংলার ক্রিকেটার প্রিয়জিৎ ঘোষ মারা গিয়েছেন জিম করতে গিয়ে। এক্ষেত্রে তা হয়নি। অসুস্থ শুভাঞ্জনকে যখন মনিপাল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তখন তার দু'পায়ে অসহ্য ব্যথা। দাঁড়াতে পারছে না। পরীক্ষা করে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, পায়ের অতিরিক্ত ব্যায়াম করতে গিয়ে কাফ এবং থাই মাসল এতটাই অনমনীয় হয়ে গিয়েছে যে নাড়ানো যাচ্ছে না দু'টো পা।
আতঙ্কের শুরু, যখন গাঢ় লাল রঙের প্রস্রাব করতে থাকে শুভাঞ্জন। ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "ওর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, ব্যতিক্রমীভাবে অতিরিক্ত শরীরচর্চা করছিল ও! সকলকেই বলব, দুম করে অনেকটা ওজন তুলে নিলেন, কিংবা অসংযত শরীরচর্চা করলেন। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। হতে পারে প্রাণহানিও।" ডা. শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, অতিরিক্ত শরীরচর্চায় 'মাসল ড্যামেজ' হয়েছিল এই কিশোরের। মাসল ছিঁড়ে সেখান থেকে প্রস্রাবে রক্ত চলে এসেছিল। সেই কারণে গাঢ় লাল রঙের প্রস্রাব হচ্ছিল। চিকিৎসকের আশঙ্কা, "ওই রক্ত জমাট বেঁধে কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারত।"
ডাক্তারদের সতর্কবার্তা, "এমন শরীরচর্চা করবেন না যা সচরাচর করেন না। অতটা পরিশ্রম করার মতো শরীরে হয়তো নিউট্রিশন নেই। এটা জানে না জেনারেশন জেড। অতিরিক্ত শারীরিক কসরতে শরীর থেকে অত্যধিক ফ্লুইড বেরিয়ে গেলে, সমপরিমাণ জল না খেলে লিভারের সমস্যা হতে পারে।"
