সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথা বলতে গিয়ে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে? বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় হোক বা অফিসে। এমনটা ঘটলে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয় বইকি! এই ব্যাপারটাকে মোটেও হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, দাঁত নিয়মিত পরিষ্কার করার পরেও বহু মানুষ 'হ্যালিটোসিস' বা দীর্ঘস্থায়ী মুখের দুর্গন্ধের সমস্যায় ভুগতে পারেন। চিকিৎসকদের মতে, প্রায় ৮০-৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে দুর্গন্ধের উৎস মুখগহ্বর হলেও, বাকি ১৫ শতাংশ কারণ লুকিয়ে থাকে শরীরের অভ্যন্তরে।
কেন হয় এই দুর্গন্ধ?
দাঁত ব্রাশ করলে খাবারের কণা পরিষ্কার হয় ঠিকই, কিন্তু দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া অনেক সময় দাঁতের ক্যাভিটি বা মাড়ির পকেটে লুকিয়ে থাকে। সেখানে ব্রাশের নাগাল পাওয়া কঠিন। এছাড়া জিহ্বার ওপর জমে থাকা জীবাণুর স্তরও দুর্গন্ধের বড় কারণ।
আর কী কী কারণে দুর্গন্ধ হতে পারে?
চিকিৎসকরা বলছেন, শুধু দাঁতের দোষ দিলে চলে না। থাকতে পারে অভ্যন্তরীণ শারীরিক সমস্যা।
১) লালা বা স্যালাইভা মুখ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। লালা কম তৈরি হলে ব্যাকটেরিয়া বাড়ে। ফলে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। তামাক বা মদ্যপান এই সমস্যা বাড়ায়।
২) যাঁদের দীর্ঘদিনের গ্যাস, অম্বল বা বদহজম আছে, তাঁদের পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালী দিয়ে ওপরে উঠে আসে। এর ফলে নিঃশ্বাসে টক বা পচা গন্ধ হতে পারে।
৩) সাইনাস বা গলার সংক্রমণের ফলে তৈরি হওয়া মিউকাস বা সর্দি দুর্গন্ধের কারণ হয়।
৪) ডায়াবেটিস, কিডনি বা লিভারের সমস্যা থাকলে রক্তে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। যার প্রভাব পড়ে নিঃশ্বাসে। এছাড়া ভিটামিন সি ও ডি-এর অভাবেও মাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গন্ধ হতে পারে।
দ্রুত মুক্তির উপায়
১) দিনে অন্তত দু’বার ফ্লোরাইড যুক্ত টুথপেস্ট দিয়ে ব্রাশ করুন।
২) প্রতিদিন টাং ক্লিনার দিয়ে জিভ পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।
৩) পর্যাপ্ত পরিমাণে (দিনে ৮-১০ গ্লাস) জল পান করুন।
৪) নুন-জল দিয়ে গার্গল করুন এবং চিনিমুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন।
৫) লবঙ্গ, পুদিনা পাতা বা দারুচিনি চিবোতে পারেন যা প্রাকৃতিক ফ্রেশনার হিসেবে কাজ করে।
