সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রণ নিয়ে বিড়ম্বনার শেষ নেই! কখনও কপালে তো, কখনও থুতনিতে! একবার শুরু হলে আর সেরে ওঠার নাম করে না। বাজারের ক্রিম থেকে শুরু করে ঘরোয়া টোটকা। সারিয়ে তোলার জন্য চলে হাজারো চেষ্টা। কিন্তু ধৈর্য ধরতে পারেন না অনেকেই। আবার এমন অনেকে রয়েছেন যাঁরা গোটা বছর ধরেই ব্রণর সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা বিভিন্ন কারণেই দেখা দিতে পারে। ত্বকের চর্চা ঠিকমতো না করলে যেমন ব্রণ হতে পারে। ঠিক তেমনই হরমোনজনিত সমস্যাতেও একটি বিশেষ বয়সে তা দেখা দেয়। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল তো ব্রণর একটা বড় কারণ।
ব্রণ হল ত্বকের একটি সাধারণ সমস্যা। সকল বয়সের মানুষই কখনও না কখনও এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। কিন্তু এহেন অবস্থায় আমরা নিজেদের অজান্তেই এমন বেশ কিছু ভুল করে ফেলি, যা পরিস্থিতি আরও বিগড়ে দেয়। তাই, ব্রণ হলে ঠিক কোন কাজগুলি ভুলেও করবেন না? সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানালেন ডাঃ জয়শ্রী প্রামাণিক দাস।
ব্রণ দেখলে আমরা অনেকেই হাত দিয়ে বারবার সেই স্থান স্পর্শ করি। কিংবা মাঝেমধ্যে তা টিপেও ফেলি। এটি সবচেয়ে বড় ভুল। ব্রণ টিপে সাদা অংশ বের করার চেষ্টা করলে ত্বকের নিচে থাকা জীবাণু আরও গভীরে চলে যায়। এর ফলে সেখানে আরও বেশি সংক্রমণ হয়, ব্রণ বড় হয় এবং ত্বকে স্থায়ীভাবে দাগ তৈরি হয়। এই দাগগুলো সহজে দূর হতে চায় না। তাই, ব্রণতে একদমই হাত নয়। স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।
আপনার কোনও বন্ধুর ব্রণ কমেছে একটি নির্দিষ্ট ক্রিম ব্যবহার করে। আপনিও ভাবলেন, আপনার ক্ষেত্রেও এই ক্রিম কাজ করবে। এই ধারণাটি ভুল। কারণ সবার ত্বকের ধরন এক নয়। আপনার বন্ধুর ত্বকে যা কাজ করেছে, তা আপনার ত্বকে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। কোনও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া কোনও ধরনের ক্রিম বা ওষুধ ভুলেও ব্যবহার করবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক চিকিৎসা নিন।
ব্রণ হলে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েন। এই প্রবণতাকে বলা হয় ডিসমর্ফোফোবিয়া। এটি এমন এক মানসিক অবস্থা, যেখানে ব্যক্তি তাঁর শরীরের কোনও খুঁত নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করে হতাশ হয়ে পড়েন। ব্রণকে অতিরিক্ত বড় সমস্যা মনে করে অনেকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ওঠেন। মনে রাখবেন, এটি একটি সাধারণ সমস্যা এবং সঠিক পরিচর্যায় সেরে ওঠে। তাই মন খারাপ না করে বিষয়টিকে সহজ ভাবে নিন। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করুন।
ব্রণ হওয়ার পেছনে খাদ্যাভ্যাস এবং অপরিচ্ছন্নতাও একটি বড় কারণ। অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার, ভাজাপোড়া, চিনিযুক্ত খাবার ব্রণর কারণ হতে পারে। একই সঙ্গে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর না রাখলে জীবাণু সংক্রমণ বাড়ে। প্রতিদিন নিয়ম করে মুখ পরিষ্কার করুন এবং পর্যাপ্ত জল পান করুন। সুষম খাবার গ্রহণ ও ত্বকের যত্ন নিন।
