সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজেকে ফিট রাখতে নিয়মিত ওয়ার্কআউট করেন? খুব ভালো কথা। তবে লাভের বদলে হিতে বিপরীত ঘটছে না তো? আপনি যেভাবে শরীরচর্চা করেন তা কি একদমই নির্ভুল? কীভাবে করছেন ও কোন সময় শরীরচর্চা করছেন তা কিন্তু এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ আপনার শরীরচর্চার সময় ও পদ্ধতির উপরই দেহের হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রিত হয়। এমনই জানালেন বলি পাড়ার অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়ার ফিটনেস ট্রেনার সিদ্ধার্থ সিংহ।
খালি পেটে কার্ডিও
শরীরে চর্বি দ্রুত কমাবার আশায় অনেকেই খালি পেটে কার্ডিও করে থাকেন। কিন্তু অতিরিক্ত ও দীর্ঘ সময়ের ব্যায়ামে পেশি ক্ষয়, দুর্বলতা ও মাথা ঘোরার ঝুঁকি থাকে। শুধু তাই নয়, দেহে কার্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়।
অত্যধিক শরীরচর্চা
বেশি শরীরচর্চা করলে দেহে হরমোনের পরিবর্তন হয়। অতিরিক্ত ভারী ব্যায়ামের ফলে স্ট্রেস হরমোন (কর্টিসল)-এর মাত্রা বাড়ে। এর ফলে পেশি ক্ষয় হতে পারে। পাশাপাশি মহিলাদের মাসিক চক্র এবং প্রজনন হরমোনের ভারসাম্যও বিঘ্নিত হয়।
অধিক রাতে শরীরচর্চা
সময়ের অভাবে অনেকেই রাতে জিমে যান। অধিক রাতে শরীরচর্চা করলে শরীরের তাপমাত্রা ও হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। ফলে ঘুমের হরমোন (মেলাটোনিন) উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি হয়। এতে ঘুমের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ায় স্ট্রেস হরমোন (কর্টিসল)-এর ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। সিদ্ধার্থ সিংহের মতে, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ৩ ঘন্টা আগে শরীরচর্চা শেষ করা উচিত।
