স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: অক্টোবরের মাঝামাঝি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুরু হবে বৈবাহিক ধর্ষণ (Marital Rape) সংক্রান্ত মামলার শুনানি। শুক্রবার এই কথা জানিয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। এদিন বৈবাহিক ধর্ষণের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে আবেদনকারী দুই আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং এবং করুণা নন্দীকে প্রধান বিচারপতি বলেন, সাংবিধানিক বেঞ্চে যে শুনানিগুলি চলছে, তা শেষ হয়ে যাওয়ার পরই অক্টোবরের মাঝামাঝি এই মামলার শুনানি শুরু হবে।
বৈবাহিক ধর্ষণ প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে কর্নাটক ও দিল্লি হাই কোর্টের দুই রায়ে দেশজুড়ে হয় ব্যাপক আলোচনা। কর্নাটক হাই কোর্ট এক রায়ে জানায়, যুগে যুগে স্বামীর পোশাক পরিধানকারী পুরুষ নিজেদের স্ত্রীর দেহ, মন ও আত্মার শাসক হিসাবে দেখে আসছে। প্রচলিত এই চিন্তাধারা ও প্রথা মুছে ফেলা উচিত। এই পুরনো, পশ্চাদপসরণমূলক এবং পূর্বকল্পিত ধারণার উপর ভিত্তি করেই এই ধরনের ঘটনাগুলি দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এই ধরনের অসাম্যের অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তা করার দায়িত্ব আইন প্রণেতাদের। স্বামী বলেই জোরপূর্বক মিলনে লিপ্ত হওয়া যায় না। আবার দিল্লি হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই বিষয়ে বিভক্ত রায় দেয়।
[আরও পড়ুন: ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানোর ‘শাস্তি’, আয়ার নৃশংস অত্যাচারে মৃত্যু বৃদ্ধার]
সংবিধানের ৩৭৫ ধারা প্রসঙ্গে বিচারপতি রাজীব শকধেরের বলেন, “বিষয়টি নৈতিকভাবে মৌলিক অধিকার বিরোধী। স্ত্রীর অসম্মতিতে স্বামীরা যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারেন না।” আবার আরেক বিচারপতি সি হরিশংকর বলেন যে, বৈবাহিক সম্পর্কে থাকা কোনও পুরুষ বলপূর্বক স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে তা কোনও আইন লঙ্ঘন করে না। সংবিধানের ৩৭৫ ধারার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে একাধিক মামলা। সেগুলি সংযুক্ত করেই এবার অক্টোবরে মামলার শুনানির নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি।