সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের দিলচাঁদ সিংয়ের মতোই কি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন রানিগঞ্জের রাখাল দাস? আশার কথা শুনিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, রাখাল দাসের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। চিকিৎসায় ইতিবাচক সাড়াও দিচ্ছেন তিনি। এমনকী, তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শনিবার রানিগঞ্জের ওই যুবকের শরীরে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করেছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
[আগামী এক মাসের জন্য কমছে মেট্রোর সংখ্যা, বিপাকে নিত্যযাত্রীরা]
ব্রেন টিউমার হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা পুজালির বাসিন্দা সৈকত লাট্টুর। এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি। শুক্রবার রাতে চিকিৎসকরা জানান, সৈকতের ‘ব্রেন ডেথ’ হয়েছে। তাঁর আর বাঁচার কোনও সম্ভাবনা নেই। ওই যুবকের হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের জন্য উদ্যোগ নেয় এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে চলে আসেন সৈকত লাট্টুর পরিবারের লোকেরা। হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের সম্মতি দেন তাঁরা। নিয়মমাফিক শুক্রবার রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে সৈকতের বাড়ির লোকের কাছ থেকে লিখিত সম্মতিপত্র নেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। এরপর গ্রিন করিডর তৈরি করে এসএসকেএম থেকে হৃদযন্ত্র আনা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। মেডিক্যাল কলেজে তখন হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের জন্য তৈরি করে রাখা হয়েছিল তিনজনকে। কিন্তু রানিগঞ্জের রাখাল দাসের সঙ্গে পুজালির সৈকত লাট্টুর হৃদযন্ত্রের মিল পাওয়া যায়। শনিবার রাখাল দাসের শরীরে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করেন মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা। চার ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে প্রতিস্থাপন সফল বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। কড়া পর্যবেক্ষণে ছিলেন রানিগঞ্জের যুবক রাখাল দাস। তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা। চিকিৎসায় ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছেন, রোগীকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পূর্ব ভারতে প্রথম হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করে ইতিহাস গড়েছেন কলকাতার চিকিৎসকরাই। মাস ছয়েক আগে ঝাড়খণ্ডের দিলচাঁদ সিংয়ের শরীরে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হয় শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন তিনি। তবে শহরের সরকারি হাসপাতালে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন এই প্রথম।
[ ‘মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় বলছি’! আধিকারিককে ফোনে হুমকি দিয়ে শ্রীঘরে প্রৌঢ়]