নব্যেন্দু হাজরা: শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ (Cyclone Gulab)কাঁটা সরে গিয়ে বঙ্গের (West Bengal) উপর থেকে। ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলে খানিকটা দাপট দেখিয়ে শক্তি হারিয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। আরব সাগরের দিকে সরে যাওয়ার পর নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করে ‘শাহিনে’ পরিণত হতে পারে তা। তবে এখনই বাংলা থেকে দুর্যোগ কাটছে না। অন্তত আগামী ২ দিন ঝড়বৃষ্টি থেকে রেহাই নেই বঙ্গবাসীর। মঙ্গলবার ভারী থেকে অতি ভারীর বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। সেই দুর্যোগ সামলাতে আগেভাগে প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। সোমবার নবান্নে (Nabanna) জরুরি বৈঠক করে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে সতর্ক করা হয়েছে। ১৪ টি জেলায় জারি সতর্কবার্তা। মৎস্যজীবীদের আগামী ২ দিন সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বন্ধ থাকবে ফেরি পরিষেবাও।
আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায়। মঙ্গলবার তা পশ্চিমবঙ্গ উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। তারপর ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) দিকে এগিয়ে যাবে। তবে তারই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলে দাপট দেখাবে ঘূর্ণাবর্তটি। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি ভাসতে পারে ভারী বৃষ্টিতে (Heavy rain)। এছাড়া পশ্চিমের জেলাগুলি – ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়াতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আজ দিনভর আকাশ মেঘলা। বেলা বাড়তেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরুর আশঙ্কা রয়েছে।
[আরও পড়ুন: স্বপ্নপূরণের পথে বাংলার ‘জলকন্যা’ সায়নী, মিলল মলোকাই চ্যানেলে নামার অনুমতি]
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে। কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুরে হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। মঙ্গলবার কলকাতার আকাশ থাকবে মেঘলা। কয়েক পশলা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। এদিন সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৬ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৬ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে সামান্যই।
[আরও পড়ুন: ভরসন্ধেয় রায়গঞ্জে চলল গুলি, মৃত্যু মহিলার, আহত ২]
বুধবারেও মেঘলা আকাশ, হালকা মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলায়। ভারী বৃষ্টি কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায়। তবে বুধবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাবে বলেই আশ্বস্ত করছে হাওয়া অফিস। তবে আগামী দু, তিনদিন গুজরাট, কঙ্কন, গোয়া, মধ্য মহারাষ্ট্র, সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ এবং ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।