সৈকত মাইতি, তমলুক: আবারও টানা দু’দিনের নিম্নচাপের বৃষ্টিতে দুর্ভোগের মুখে পড়লেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দারা। এর জেরে ফের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন জেলার ফুল ও সবজি চাষিরা।
[আরও পড়ুন: মুনাফার আশায় পুজোর আগে হিমঘরে ঢুকছে বাঁকুড়ার পদ্ম]
মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রায় একনাগাড়ে বৃষ্টির জেরে জেলার একাধিক দোকান, বাজার এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে পাঁশকুড়া, তমলুক ও কোলাঘাটের মেচেদা এলাকা। মেচেদা ও পাঁশকুড়া বাজারের একাধিক দোকান-বাজারে জল ঢুকে যাওয়ায় পুজোর আগেই ব্যবসা প্রায় লাটে উঠেছে। এর জেরে দোকান খুলতে না পারায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এদিকে টানা বৃষ্টির জেরে পুজোর আগে আবারও বিপুল পরিমাণ ক্ষতির আশঙ্কায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ফুল চাষিদেরও। গাছের গোড়ায় জল জমে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে গাঁদা, দোপাটি ও রজনীগন্ধা ফুলের চাষে। কৃষকদের আশঙ্কা, দ্রুত বাগানে জমা জল বের না হলে গাছের গোড়া পচে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে পুজোর মরসুমে যেমন ফুলের দর চড়া হবে তেমনই ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন ফুল চাষিরা।
[আরও পড়ুন: অর্থকরী ফসল হিসেবে বাড়ছে নারকেলের গুরুত্ব, সাম্প্রতিক গবেষণায় নতুন আশা]
জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারই জেলায় প্রায় গড়ে ১৩০.৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হয়েছে নন্দীগ্রাম ব্লকে যার পরিমাণ ২০০ মিলিমিটার। এছাড়াও পাঁশকুড়া ও পটাশপুর ব্লকে বৃষ্টির পরিমাণ গড়ে প্রায় ১১৬ ও ১৪৩ মিলিমিটার। এবিষয়ে জেলা ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নারায়ণ নায়েক বলেন, “অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের জেরে ধানের ক্ষেত্রে তেমন কোনও ক্ষতি না হলেও ফুল ও সবজি চাষের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। বিশেষ করে ফুলের পাঁপড়ি পচে গিয়ে পুজোর আগে এই ক্ষতি আরও দ্বিগুণ বড়িয়ে দিতে পারে। তাই চাষিদের এই দুর্দশার বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।” জেলা সহ কৃষি অধিকর্তা (শস্য সুরক্ষা) মৃণালকান্তি বেরা বলেন, “বিগত প্রায় দু’দিন ধরে একনাগাড়ে বৃষ্টির জেরে জেলার বেশ কিছু ব্লক এলাকার অপেক্ষাকৃত নিচু জমিতে ফুল ও সবজি চাষের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে ব্লক স্তর থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে এই বৃষ্টি হলে ক্ষতির মুখে পড়বে জেলার চাষবাস।”
The post বর্ষাসুরের দাপট, পুজোর মুখে গাঁদা চাষে ব্যাপক ক্ষতি appeared first on Sangbad Pratidin.