সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহান্তে ভারী বৃষ্টি হতে পারে, এমন পূর্বাভাস ছিলই। সেই আশঙ্কা সত্যি করে তুমুল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত অসম (Assam)। প্রবল বৃষ্টিতে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলা-সহ তিন জনের। ডিমা হাসাও জেলায় বৃষ্টির কারণে ধস নেমে এই বিপত্তি হয়েছে। ছয়টি জেলার প্রায় পঁচিশ হাজার মানুষ আটকে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় দু’ হাজার হেক্টর চাষজমি। সেনা এবং আধা সামরিক বাহিনীর সাহায্যে আটকে থাকা মানুষকে উদ্ধারের কাজ চলছে। আধিকারিকদের মতে, ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবেই ব্যাপক ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
অবিরাম বৃষ্টির (Heavy Rainfall) কারণে ইতিমধ্যেই জল বাড়তে শুরু করেছে নদীগুলিতে। অধিকারিকরা জানিয়েছেন, বহু নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। কাছাড় জেলা থেকেই প্রায় দু’হাজার মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের একটি টুইটে দেখা যাচ্ছে, জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে রাস্তার একাংশ। অসমের ডিমা হাসাও জেলার হাফলং এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেসের সংকল্প শিবিরেও অন্তর্দ্বন্দ্ব, প্রকাশ্যে গেহলট-পাইলট বিরোধ]
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ডিমা হাসাও। সেখানে প্রায় ১২টি গ্রামে ধস নেমেছে বলে খবর। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৮০টি বাড়ি। এছাড়াও বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে গোটা জেলায়। ডিমা হাসাও জেলার ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, মানুষকে রাস্তায় বেরতে বারণ করা হয়েছে। বন্যার ফলে বহু জায়গাতেই রাস্তা ধসে গিয়েছে, ফলে যেকোনও সময়ে রাস্তা ভেঙে গিয়ে বিপদ বাড়তে পারে বলেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু বাড়ি এবং অফিসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়েছে রেল পরিষেবা। লুমদিঙ-বদরপুর বিভাগের বাতিল হয়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেন। উত্তর-পূর্ব রেলের এক আধিকারিক বলেছেন, পাহাড়ি এলাকার রেললাইনে জল জমে রয়েছে। এছাড়াও ধস নামতে পারে রেল লাইনে। সেই কথা মাথায় রেখেই আপাতত ট্রেন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাইবাং ও মাহুর এলাকাতেও দেরি করে ট্রেন চলছে।
[আরও পড়ুন: দু’মাসে আয় ৪০০ কোটি! বিয়ার বিক্রিতে সর্বকালীন রেকর্ড রাজ্যে]