নব্যেন্দু হাজরা: সামনে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election)। তার আগে গ্রামোন্নয়নের কাজে আরও নজর দিচ্ছে নবান্ন। কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য জেলাশাসকদের একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিল নবান্ন। কৃষকরা যাতে কাজের জন্য ঠিকমতো ব্যাংক থেকে ঋণ পান, তা দেখবেন জেলাশাসকরা (DM)। শুক্রবার কৃষি আধিকারিক ও জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করে মুখ্যসচিব এই নির্দেশ দেন। দরকারে সেই কৃষককে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ব্যাংকে গিয়ে কথাও বলতে হবে জেলাশাসককে।
অনেক সময় কৃষি ঋণ ছাড়াও অন্যান্য কাজের জন্য কৃষকরা ঋণের (Loan) আবেদন করে থাকেন। গোডাউন তৈরি, কোল্ড স্টোরেজ, কৃষি সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি কেনা-সহ অনেক কাজের জন্য ঋণ প্রয়োজন হয়। কিন্তু অভিযোগ, ব্যাংকে ঋণের আবেদন জানালে তা অনেক ক্ষেত্রেই খারিজ হয়ে যায়। কোনও কোনও জেলায় এই বাতিলের হার ৩৪ শতাংশেরও বেশি। কোথাও কোথাও তা ৪০ শতাংশ। এর জেরে আটকে রয়েছে কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক একগুচ্ছ কাজ। ক্ষোভ বাড়ছে কৃষকদের। জলপাইগুড়ি, উত্তর ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া-সহ ৫ থেকে ৬টি জেলায় সমস্যা বেশি। এসব অভিযোগ মিলছিল অনেকদিন ধরেই। এবার তার সমাধানে উদ্যোগী হল নবান্ন (Nabanna)।
[আরও পড়ুন: ‘মোদি ভগবান, একবার ছুঁতে চাই’, আর্তি মোদিকে মালা পরাতে গিয়ে বিতর্কে জড়ানো কিশোরের]
শুক্রবার সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব (Chief Secretary) এইচ কে দ্বিবেদী। ছিলেন কৃষিদপ্তরের সচিবও। মুখ্যসচিব নির্দেশ দেন, কৃষকদের অভিযোগ পেয়ে জেলাশাসকরা যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেন। কী কারণে ব্যাংক কৃষকদের ঋণের আবেদন খারিজ করা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হোক। অবিলম্বে ব্যাংকগুলির সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা মেটাতে হবে। প্রয়োজনে জেলাশাসক উপভোক্তাকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাংকে যেতে হবে। যে কোনওভাবে হোক, প্রয়োজনীয় নথিপত্র থাকলে যেন ঋণ পেতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা দেখতে হবে জেলাশাসককেই। এমনই নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।
[আরও পড়ুন: ‘সুষ্ঠু ভোট না হলে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেব’, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে হুমকি বিজেপি বিধায়কের]
রাজ্যের কৃষক ও কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নে একাধিক প্রকল্প রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরকারের। সেসব প্রকল্পের সুবিধা ছাড়াও নগদ টাকা অনেক সময় প্রয়োজন হয় কৃষকদের। সমবায় ব্যাংকগুলিতে এই সংক্রান্ত ঋণ নেওয়ার সুবিধা থাকলেও তা অনেক ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই বাধা কাটিয়ে কৃষকদের পাশে থাকতে কড়া পদক্ষেপ নিল নবান্ন।