সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনাসুরের দাপটে মা দুগ্গাও এবার কনটেনমেন্টে বন্দি। সারাবছর ধরে যে যে দিনগুলোতে বাঁধনছাড়া হওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকে নরম মনটা, এবার তা ভেঙে খানখান প্রায়। মোটেই তো আর মা, বাপির হাত ধরে প্যান্ডেলে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ঠাকুর দেখা যাবে না। বন্ধুদের সঙ্গে ক্যাপ ফাটানোও এবারের মতো স্থগিত। ইচ্ছেমতো ফুচকা, ঝালমুড়ি খাওয়ায়ও নিষিদ্ধ। তাই এবারের দুর্গাপুজোতে (Durga Puja) ছোটদের ভারী মনখারাপ। কিন্তু তা’বলে কি সাজগোজও কি জমিয়ে হবে না? নিশ্চয়ই হবে। বাড়ির খুদে সদস্যের মন ভাল করতে ওদের দারুণভাবে সাজিয়ে তুলুন। রইল কিছু টিপস –
আপনি যে রঙের শাড়ি কিনেছেন, ওকেই সেই রঙের জামা পরান। সম্ভব হলে, আপনার শাড়িরই একটা টুকরো দিয়ে যদি সন্তানের পোশাক বানিয়ে দিতে পারেন, তাহলে তো কেল্লাফতে। একইসঙ্গে আপনি আর সন্তান নতুন পোশাক গায়ে তুলুন, ওই জামা পরে তার মুখে হাসি ফুটতে বাধ্য। সবসময় যে পোশাকই বানাতে হবে, তেমন বাধ্যবাধকতা নেই। ধরুন, আপনার শাড়ির পাড়ের কিছুটা অংশ দিয়ে ওর জন্য রিবন বানিয়ে দিলেন কিংবা ওর জামার ধারে বসিয়ে দিলেন, তাতেও একটা নতুন লুক আসবে।
ছোটদের জামা পরানোর ক্ষেত্রে আরামদায়ক ব্যাপারের পাশাপাশি ওর পছন্দের স্টাইলের কথাও মাথায় রাখুন। ও হয়ত গাঢ় রং তেমন পছন্দ করে না, খুব জমকালো পোশাকও না-পসন্দ। সেক্ষেত্রে হালকা রংয়ের মধ্যে ছিমছাম ডিজাইনের পোশাকই কিনুন। পুজোর সন্ধেবেলা ছোট্ট মেয়েটিকে খুব জাঁকজমকে সাজিয়ে তুলতে হবে, এমনটা ভাববেন না কিন্তু।
[আরও পড়ুন: হ্যান্ডমেড না সোনা, ভারী নাকি হালকা? পোশাকের সঙ্গে মানানসই চুড়ি না পরলে সাজটাই মাটি]
মেয়ে যদি ওয়েস্টার্ন পোশাক তত পছন্দ না করে, তবে স্রেফ সময়ের স্রোতে গা ভাসিয়ে ওকে জোর করে তা পরাবেন না। বড়দের মতো সালোয়ার-কামিজই যদি ওর প্রিয় হয়, তবে তাইই পরতে দিন। অন্তত পুজোর দিনগুলোয় ট্রেন্ডিংয়ের কথা ভেবে ওকে ওর মনের মতো পোশাক পরা থেকে একেবারেই বিরত করবেন না। এতে ওর মনও ভাল থাকবে না।
লম্বা ঝুলের স্কার্ট বা লেহেঙ্গা কিনছেন কি? দেখে নেবেন তা যেন খুব ভারী না হয়। পুঁতি বসানো কিংবা হালকা স্টিচের হলে ভাল হয়, বেনারসি বা জারদৌসের কাজের লেহেঙ্গা ওর পরার জন্য খুব একটা সুবিধাজনক নয়।
ছোট ছেলের ধুতি-পাঞ্জাবি কিনলেও একই বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। দেখতে দারুণ হলেও ধুতিটি যেন একেবারেই হালকা হয়। এমন যেন না হয় যে সুন্দর ধুতি পরে সে দৌড়াদৌড়ি করতে পারছে না। তাহলে কিন্তু সুন্দর ধুতি শোভা বোঝাই যাবে না। এসব ছোট ছোট বিষয় মাথায় রেখেই পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্যকে সাজিয়ে তুলুন। আনন্দের ভাগিদার হন আপনিও।