পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাঙালির কালী পুজো আর সারা দেশের দীপাবলি কিংবা দিওয়ালি। আলোর এই উৎসবের মেজাজ এবারে ভিন্ন। করোনা (CoronaVirus) কালে বায়ুদূষণ রুখতে বাজি ফাটানো এক্কেবারেই নিষিদ্ধ। এমন অবস্থায় কীভাবে এবার উৎসব পালন করবেন বাংলা টেলিভিশনের তারকারা? জানলেন প্রিয়ক মিত্র।
তৃণা সাহা (Trina Saha)
(গুনগুন, ‘খড়কুটো’, স্টার জলসা)
কালী পুজোতে (Kali Puja 2020) আমাদের শুটিং থাকবে। লীনাদি (গঙ্গোপাধ্যায়) মনে করেন, পুজোর সময় শুটিং করা শুভ। যেমন, ষষ্ঠীর দিন আমরা শুটিং করেছি। শুটিংয়ের পর সকলে মিলে খাওয়াদাওয়া, আড্ডা হতে পারে। তবে পরিবার বা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বাড়িতেই জমায়েত হবে, কারণ এবছরটা পুরোটাই হাউস পার্টির দিকে যাচ্ছে। আমার বাবা-মা বারান্দায় আলো জ্বালান, প্রদীপ দেন। টুনির আলো আমার ব্যক্তিগতভাবে খুবই পছন্দের। সোনালি আলো আমি খুবই ভালবাসি। এভাবেই এবছর আলোর উৎসবটা কেটে যাবে।
স্বস্তিকা দত্ত (Swastika Dutta)
(রাধিকা, ‘কী করে বলব তোমায়’, জি বাংলা)
কোনও বছরেই আমি বাজি ফাটাই না। বাজির প্রতি আমার একটা অ্যালার্জি আছে। সেটা ভয় নয়, মানসিকভাবে আমি বাজি ফাটানো বিষয়টাকেই নিতে পারি না। গত কয়েক বছর ধরে দীপাবলি (Diwali 2020) আর কালী পুজো একই দিনে পড়ছে। আমার মা পাঞ্জাবি, তাই আমাদের বাড়িতে দীপাবলির দিন লক্ষ্মী-গণেশ পু়জো হয়। সেজন্য আমার সময় বাড়িতেই কাটে, পুজোর তোড়জোড়ে। আমি কোনও উৎসবেই নিজেকে ফ্রি দেখতে পছন্দ করি না, ভিড়ে যেতে ভাল লাগে। কিন্তু এবছর কোনও গ্যাদারিংয়ে যাওয়ার সুযোগ এলেও বাড়িতেই থাকব। আমার প্রদীপ খুবই ভাল লাগে। প্রদীপে তো কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। ২০২০ অনেক আলো কেড়ে নিয়েছে আমাদের থেকে। যদি কালী পুজো বা দীপাবলির সূত্রে নতুন প্রদীপ জ্বলে ওঠে মন্দ কী?
[আরও পড়ুন:‘মোহর’,‘খড়কুটো’র মতো ধারাবাহিকে সুযোগ দেওয়ার নামে প্রতারণা, পুলিশের জালে অভিযুক্ত]
ঊষসী রায় (Ushasi Ray)
(কাদম্বিনী, জি বাংলার ‘কাদম্বিনী’ খ্যাত)
আমি বাজি ফাটাই না, বাজি ফাটানোর পক্ষেও নই। আমি সবসময়ই আলো, মোমবাতি বা প্রদীপ নিয়েই থাকি। অন্যবার কালী পুজোর সময় শুটিং থাকে। সেইভাবে কখনওই উদ্যাপন করতে পারি না। কখনও প্যাক আপের পরে হয়তো ফ্যামিলি গেট টুগেদার বা বন্ধুদের গ্যাদারিংয়ে চলে যাই। এবছর আমি ফ্রি। আমার ফ্ল্যাটে, আমার ঘরে বারোমাসই টুনিলাইট বা ক্যান্ডেল জ্বলে। আমার এগুলোর খুব নেশা। আলো দিয়ে ঘর সাজাতে আমি ভালবাসি। এবছর হয়তো সারা ফ্ল্যাট আলো দিয়ে সাজাব। বাজি ফাটানো নিয়ে আমার অসুবিধা আছে রীতিমতো। সন্ধেবেলার পর আকাশে বাজির আলো দেখতে হয়তো ভাল লাগে, কিন্তু এবছর তাও করা উচিত নয়। কারণ আমরা জানি, বাজি ফুসফুসের কী পরিমাণ ক্ষতি করতে পারে। তাই এই বছরটা কালীপুজো হোক ধোঁয়াহীন, শব্দহীন।
নীল ভট্টাচার্য (Neel Bhattacharya)
(নিখিল, ‘কৃষ্ণকলি’, জি বাংলা)
এবারে বাজি নিষিদ্ধ করে দেওয়াই বাঞ্ছনীয়। বাজির ধোঁয়া কোভিড (COVID-19) রোগীদের শ্বাসকষ্টের প্রবণতা বাড়াচ্ছে। আমি আলো জ্বালিয়ে উৎসব কাটাব। আমার শুটিং থাকবে না সেদিন। প্রদীপ জ্বালাব, পরিবারের সঙ্গে ভাল সময় কাটাব। আর আমি ‘পেট লাভার’, শব্দবাজিতে পোষ্যদের খুবই অসুবিধা হয়। শব্দবাজি থেকে এবারে সকলেই দূরে থাকলে ভাল হয়।