সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আলোর উৎসব দিওয়ালি (Diwali 2022)। আনন্দে মাতার এই তো সময়। তবে আপনার আনন্দ যেন অন্যের নিরানন্দের কারণ না হয়। সেদিকে খেয়াল রাখাও জরুরি। তাই অনেকেই বাজি না পোড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। এই সিদ্ধান্তের মর্ম বড়রা তো বোঝেন, ছোটদের বোঝাবেন কীভাবে? বছরের একটা দিন তাদের তো বাজি পোড়ানোর ইচ্ছে করতেই পারে! ভালভাবে যুক্তি দিয়ে বোঝাতে পারলে ছোটরা কিন্তু সমস্ত কথার গুরুত্ব বোঝে। কেন দিওয়ালি বা দীপাবলি পালিত হয় তা আপনার বাড়ির খুদে সদস্যটিকে বোঝান।
অন্ধকার মুছে জীবনে আলোর প্রবেশকেই মূলত দিওয়ালি কিংবা দীপাবলি হিসাবে ধরা হয়। শুধু বাঙালিরাই নন, দীপাবলি কিন্তু বিভিন্ন জায়গার মানুষই পালন করে থাকেন। রামায়ণ অনুযায়ী ১৪ বছর বনবাসের পর স্ত্রী সীতা এবং ভাই লক্ষ্মণকে সঙ্গে নিয়ে অযোধ্যায় ফিরেছিলেন রাম। দীপ দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল অযোধ্যা। সেই রীতি মেনে আজও পালিত হয় দীপাবলি বা দিওয়ালি। তাই এদিনটা প্রদীপ জ্বালিয়ে পালন করা উচিত।
[আরও পড়ুন: দেবী নিজে পান না করলেও কালীপুজোয় কেন কাজে লাগে মদ?]
প্রদীপের স্নিগ্ধ আলো মনকে জুড়িয়ে দেয়। মাটির প্রদীপ কেনা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে স্থানীয় ও দুস্থ শিল্পীরা লাভবান হবেন। এই তথ্য শিশুদের জানালে তাঁরা উদ্বুদ্ধ হবে।
বাজি পরিবেশকে ভীষণভাবে দূষিত করে। শব্দদূষণ তো হয়ই পাশাপাশি বাতাসকেও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটা শিশুকে বোঝান। প্রয়োজনে পরিসংখ্যান ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়া বাজিতে নানা ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে। তা থেকে শারীরিক সমস্যাও হতে পারে। শিশুদের সে বিষয়ে সাবধান করা জরুরি।
বাজি কিনতে অনেকেই বেশি খানিকটা টাকা খরচ করেন। এই টাকা অন্য কীভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে তাও খুদে সদস্যদের জানান। আনন্দের উৎসব দিওয়ালি। বাজি পোড়ানোর বদলে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলো করেও কাটানো যেতে পারে। আর তা খুদেরা বেশ উপভোগ করবে।