নব্য়েন্দু হাজরা: জমি লুট থেকে খুন। তোলাবাজি। কিংবা স্থানীয় ক্লাবে তুলে নিয়ে এসে নির্মম অত্যাচার। আড়িয়াদহের 'ডন' জয়ন্ত সিংয়ের কীর্তিতে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ভাইরাল ভিডিও ঘিরে চলছে জোর আলোচনা। এত অপরাধমূলক কাজে যার নাম জড়িয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেই অভিযোগ। তবে রাজ্য সরকারের তরফে সে অভিযোগ খারিজ করা হল। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এডিজি আইনশৃঙ্খলা সাফ জানান, জয়ন্ত পুরনো গুন্ডা। আগেও তাকে একাধিকবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, "আড়িয়াদহ কাণ্ডের যে ভিডিও নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে, সেটি ২০২১ সালের মার্চের। নিগৃহীত কোনও মহিলা নন। তিনি একজন পুরুষ। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে। জয়ন্ত সিং ২০১৬ সাল থেকে কমপক্ষে ৫টি পৃথক মামলায় কমপক্ষে ৫ বার গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিন বছরের পুরনো ঘটনা নিয়ে অপপ্রচার করা হয়েছে। পুরনো ভিডিও ভাইরাল হলেও তা নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফের গ্রেপ্তার করা হয়েছে জয়ন্তকে। আড়িয়াদহ কাণ্ডে ভাইরাল হওয়া দুটি ভিডিওর মধ্যে প্রথমটিতে ৬ জন এবং দ্বিতীয়টিতে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।" এডিজি আইনশৃঙ্খলা আরও জানান, খাতড়া থানায় গাছ কাটা নিয়ে অশান্তি হয়। দুই প্রতিবেশীর মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত অশান্তি ঘটে। তাতে একজনের প্রাণহানি হয়। তাতে তিনজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এছাড়া চোপড়া কাণ্ডেও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিপুল টাকা নিয়ে উধাও ‘বিজেপি নেত্রীর গাড়িচালক’, আত্মঘাতী প্রতারিত যুবক! গ্রেপ্তার অভিযুক্ত]
এদিকে, এই সাংবাদিক বৈঠকের আগেই আড়িয়াদহ কাণ্ডে মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা ঘটনায় বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংকে তোপ দাগেন। বলেন, “২০২১ সালের ঘটনা নিয়ে ভোট ড্যামেজের জন্য গত ৭২ ঘণ্টা ধরে একই খবর দেখানো হচ্ছে।। সেই সময় অর্জুন সিং সেখানকার সাংসদ ছিলেন। যারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা এখন জেলে। ২৯ জন গ্রেপ্তার। চোখ নেই, কান নেই। দেখতে পান না? পুলিশের কাছ থেকে তথ্য জানুন। এখন আবেদন জানাচ্ছি। কাজ না হলে আইনি ব্যবস্থা নেব।” যদিও মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। বলেন, “কামারহাটি বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে না। মিথ্যা দোষারোপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।”