বিশেষ সংবাদদাতা: কলকাতা পুরভোটে নিরঙ্কুশ এবং বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। আগের বারের তুলনায় ভোটশতাংশ এবং আসন সংখ্যা দুটোই বেশ খানিকটা বাড়তে চলেছে। অন্তত ঘাসফুল শিবিরের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় তেমনটাই দাবি করা হয়েছে। আজই তৃণমূলের প্রার্থীদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। সেখানেই অবাধে ভোট করানোর নির্দেশ দেওয়া হবে দলের তরফে/
তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের নেতৃত্ব চায় অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। সারা দেশ যেহেতু এখন বাংলার দিকে তাকিয়ে, তৃণমূল দেখিয়ে দিতে চায় তারা মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ভোটেই বিপুল জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত। দলীয় সূত্রের সমীক্ষা বলছে ১৪৪টির মধ্যে অন্তত ১৩৮টি ওয়ার্ড জেতার মতো জায়গায় আছে তৃণমূল। ৫২% থেকে ৮৬% পর্যন্ত ভোট তারা পাবে বিভিন্ন ওয়ার্ডে। ফলে দল চায় অশান্তিজনিত বিতর্ক পুরো এড়িয়ে চলতে। এর আগে একবার পঞ্চায়েত ভোটে এই ধরনের বিতর্কে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল দলকে। এবার শুরু থেকেই স্থানীয় স্তরের সাংগঠনিক কাঠামোকে সংযমের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: Kolkata Civic Polls: অভিমান নাকি ব্যস্ততা? বিজেপির পুর প্রচারে নেই কোনও তারকা মুখ]
এদিকে কলকাতা পুরভোট (Kolkata Municipal Election) নিয়ে আরেক তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপি তাদের ইস্তাহারের খসড়ায় বেশ কিছু অভিযোগ রেখেছে। তাদের বক্তব্য, শহরে নাকি উন্নয়ন হয়নি। জবাবে তৃণমূল বলেছে, বিপুল উন্নয়ন হয়েছে বলেই যাঁরা কাজ করেছেন, সেই প্রায় সব অভিজ্ঞরা আবার প্রার্থী হয়েছেন। ফিরহাদ হাকিম, অতীন ঘোষ, দেবাশিস কুমাররা এই তালিকায় আছেন। কিন্তু বিজেপির (BJP) পরিচিত মুখ বড় নেতারা লড়লেন না কেন? মানুষের রায় না নিয়ে তাঁরা কেন শুধু বিবৃতির লড়াইতে আছেন? বিজেপির বহু তারকাকেও প্রচারে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বামফ্রন্ট (Left Front) মূলত তিনটি আসনে কিছুটা প্রচারে আছে। কংগ্রেস দুটি আসনের বাইরে দেখাই যাচ্ছে না। শহরজুড়ে প্রচারে তৃণমূলের পক্ষে বিরাট ঝড় উঠছে।
[আরও পড়ুন: জাদুঘরে নিজেদের নাম খোদাই করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে CPM, বামেদের তোপ তৃণমূলের মুখপত্রে]
তবে বিজেপি শেষ মুহূর্তে তাদের দলীয় সাংসদদের নামানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু দলের তরফে যারা ঘোষিত দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাঁরা এখনও পর্যন্ত কলকাতার এই ভোট এড়িয়ে চলেছেন। ফলে প্রার্থীরা অনেকেই হতাশ। বাম-শিবির অবশ্য আলাদা করে কাউকে আনার চেষ্টা করছে না। মূলত স্থানীয় নেতৃত্বের উপরেই ভরসা করে দু-তিনটি ওয়ার্ডে পাখির চোখ করে মনোনিবেশ করছে। প্রচারের শেষদিকে তারা একটি করে এলাকাভিত্তিক মিছিল করবে।