ইস্টবেঙ্গল- ২ (এডুয়ার্ডো, কাটসুমি)
আইজল- ২ (উইলিয়াম ২)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৪ বছর আই লিগ নেই। পাশের ক্লাবে যাও একবার এসেছে, লাল হলুদ তাঁবুতে দেখা নেই ভারত সেরা ট্রফির। আর তাই গত বেশ কয়েক মরশুম চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করে বসে লাল-হলুদের সমর্থকরাও। চলতি বছরের আই লিগ টুর্নামেন্ট কে জিতবে, সেটা এখনই বলার সময় আসেনি। তবে মঙ্গলবারের লাল হলুদ রক্ষণ কিন্তু তুলে দিল অনেক প্রশ্ন। মোহনবাগানের মতো একই ভুলে ডুবতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেও আইজলের উইলিয়ামের করা জোড়া গোলে স্বপ্নভঙ্গ হল ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। ম্যাচ শেষ হল ২-২ অবস্থায়। লাল হলুদের হয়ে গোল দু’টি করেন এডুয়ার্ডো এবং কাটসুমি।তবে আইজলের করা ৯৪ মিনিটের গোলের কারণে কাজে এল না এই দুই প্রাক্তন মোহনবাগানীর গোল।
[জাহির-সাগরিকার বিয়ের পার্টিতে নেচে মাতালেন বিরুষ্কা]
মঙ্গলবার যুবভারতীতে ম্যাচের শুরুতে কিছুটা অগোছালো ভাবেই খেলা হতে থাকে। দু’দলই একে-অপরকে যেন মেপে নিতে চাইছিল। কিন্তু ১৫ মিনিট অতিক্রম করতেই দু’দলই গোলের জন্য ঝাঁপায়। তবে কিছুটা হলেও আক্রমণের ঝাঁঝ ইস্টবেঙ্গলের বেশি ছিল। আল আমনা-কাটসুমি জুটি শুরু থেকেই দুর্দান্ত বোঝাপড়া উদাহরণ রাখেন। তবে এদিনও নিজের ‘সুনাম’ বজায় রাখলেন ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর খেলোয়াড় উইলিস প্লাজা। প্রথম ৩০ মিনিটে একাই দু’টো সুযোগ নষ্ট করেন। তবে ৩৩ মিনিটে তাঁর একটি শট পোস্টে না লাগলে প্রথমার্ধেই গোল পেয়ে যেতে পারত লাল-হলুদ ব্রিগেড। উলটোদিকে, আই লিগ চ্যাম্পিয়ন আইজলও বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ফলে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোলশূন্যভাবেই।
[ক্রিকেটের সূচিতে বড়সড় পরিবর্তন, ম্যাচের সংখ্যা কমছে বিরাটদের]
খালিদ জামিলকে বলা হচ্ছে ‘নতুন নইমুদ্দিন’। কারণ মাঠে হোক কিংবা মাঠের বাইরে দ্রোণাচার্যের সমস্ত গুণই রয়েছে আই লিগ জয়ী কোচ খালিদ জামিলের মধ্যে। তেমনি চুপচাপ, আর তেমনি শৃঙ্খলাপরায়ণ। আর রয়েছে ম্যাচ রিডিংয়ের অসম্ভব দক্ষতা। আর তার জেরেই বিরতির পর আরও দুর্দান্ত ফুটবল খেলল ইস্টবেঙ্গল। যদিও বাজে রক্ষণের কারণে শেষপর্যন্ত সেটা আর কাজে আসেনি। দ্বিতীয়ার্ধেই ম্যাচের চারটি গোল হয়। শুরুতেই অবশ্য আক্রমণ বেশি ছিল খালিদের ছেলেদের। তিন মিনিটেই পরপর আক্রমণ করে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সহজ সুযোগ হাতছাড়া করায় গোল করতে পারেনি তাঁরা। তবে ৬৬ মিনিটে মোহনবাগানের ব্রাত্য এডুর হেড আইজলের রক্ষণ ভাঙতে সক্ষম হয়। এরপর আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় খালিদের ছেলেরা। ৭৩ মিনিটে আরও এক প্রাক্তন মোহনবাগানী গোলের ব্যবধান বাড়ায়। রফিকের দূরপাল্লার শট কাটসুমির পায়ে লেগে আইজলের গোলে ঢুকে যায়। গোলকিপার তখন পুরোপুরি উলটোদিকে। যদিও এরপরেই লাল হলুদ রক্ষণের ভুলে একটি গোল শোধ করে আইজল। লাল হলুদের রক্ষণ পরপর ভুল করতে থাকে। প্রথমে ফ্রি-কিক থেকে এবং একদম অন্তিম মুহূর্তে কর্নার থেকে দুরন্ত হেডে গোল করে দলকে মূল্যবান এক পয়েন্ট এনে দেন উইলিয়াম। গোটা ম্যাচে লাল-হলুদের মাঝমাঠ ছিল দুরন্ত। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের গোল নষ্ট এবং বেহাল রক্ষণ ডার্বির আগে যথেষ্ট চিন্তায় রাখবে খালিদ জামিলকে। তবে মোহনবাগানের সঙ্গে সমান অবস্থানেই এবার মাঠে নামতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। কারণ আই লিগের প্রথম ম্যাচে এভাবেই শেষ মুহূর্তে গোল খেয়েছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এখন দেখার আগামী ৩ ডিসেম্বর যুবভারতীতে শেষ হাসি কে হাসে।
The post আইজলের নাছোড় লড়াইয়ে যুবভারতীতে আটকে গেল ইস্টবেঙ্গল appeared first on Sangbad Pratidin.