shono
Advertisement

চাহিদা এক কোটি, কালীপুজোয় সেঞ্চুরি পার জবার মালা

আম গেরস্তর মাথায় হাত।
Posted: 09:09 AM Nov 12, 2023Updated: 09:09 AM Nov 12, 2023

নব্যেন্দু হাজরা: এই দিনটা পদ্ম বা অন‌্য কোনও ফুলের নয়। দিনটা শুধু জবার।
তার খোঁজেই হন্যে আম গেরস্ত। একটু টাটকা হবে না! হাওড়ার মল্লিকঘাট ফুলমার্কেট থেকে শহরের গড়িয়াহাট বা মানিকতলা বাজার সর্বত্রই ক্রেতাদের এক চাহিদা। আর সেই চাহিদাতেই পুজোর আগের দিনই ঝড়ের বেগে দাম তুলছে জবা। যেমনটা দিনকয়েক আগে কোহলির ব‌্যাটে রান উঠছিল ইডেনে। একাধিক বাজারে শনিবারই সেঞ্চুরি পার করেছে ১০৮ জবার মালা। অনেকে তো অর্ডার দিয়ে টাকা অ‌্যাডভান্স করে রেখে গিয়েছেন আজ মালা নিয়ে যাবেন বলে। দামের নিরিখে জবাকে সমানে টক্কর দিচ্ছে পদ্ম, অপরাজিতা, এমনকি বেলপাতাও।

Advertisement

ব‌্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, গত বর্ষায় নিম্নচাপজনিত বর্ষণে রাজ্যের ফুলচাষ পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বড় ক্ষতির মুখে পড়েছিল। ফলস্বরূপ উৎসবের মরশুমের দুর্গা ও লক্ষীপুজোতে পদ্ম, রজনী, দোপাটি-সহ সমস্ত ফুলের দাম ছিল আকাশছোঁয়া। আর এবার পালা জবার।

[আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে শহরে নাশকতার ছক? পার্ক স্ট্রিট থেকে গ্রেপ্তার ২ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী]

শনিবারই কলকাতার মল্লিকঘাট ফুলবাজার সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট, দেউলিয়া, কেশাপাট প্রভৃতি পাইকারী ফুলবাজারে দাম ছিল বেশ চড়া। রজনীগন্ধা ৩৫০-৪০০ টাকা প্রতি কেজি, দোপাটি ১০০ টাকা, অপরাজিতা ৩০০ টাকা, লাল গাঁদা ৭০-৭৫ টাকা, হলুদ গাঁদা ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া পদ্ম ৩৫-৪০ টাকা, গোলাপ ৩ টাকা প্রতি পিস, লাল গাঁদার তিন ফুট সাইজের মালা ১২-১৫ টাকা, হলুদ গাঁদার মালা ১৮-২০ টাকা প্রতি পিস দরে বিক্রি হয়েছে। খুচরো বাজারে গিয়ে সেই দাম আজ দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কা। আর জবা? জবা ৭০-৮০ টাকা/প্রতি শ’দরে শনিবার পাইকারী বাজারে বিকিয়েছে। ১০৮ ফুলের মালা গাঁদার পর বহু খুচরো বাজারে যার দাম সেঞ্চুরি পার করেছে। আজ পুজোর দিন বাজারভেদে সেই দাম আরও অনেকটাই বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন ব‌্যবসায়ীরা।

সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়ক বলেন, “মাস দেড়েক আগে চলা নাগাড়ে বৃষ্টিতে ফুলের চাষ ভীষণভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছিল। যার প্রভাবে শারদীয়া পুজো মরশুমে দুর্গা ও লক্ষীপুজোয় ফুলের দাম ছিল আকাশছোঁয়া। কালীপুজোতেও দাম তো হবেই। বিশেষত জবার মালার। রাজ্যে এদিন এক কোটি জবার চাহিদা থাকে। কালীপুজোর দিনে সেই চাহিদা মেটাতে এক সপ্তাহ আগে থেকেই ফুল তুলে হিমঘরে মজুত করেন ফুলচাষিরা।”

[আরও পড়ুন: ব্রিটিশদের তাড়াতে শক্তি আরাধনা বিপ্লবীদের, ঝালদায় লাঠি খেলার আখড়াতেই কালীপুজো]

ফুলচাষিদের কথায়, আগে থেকে ফুল কিনে রাখলে লাভ অনেক বেশি। শুধু লাভই নয়, একদিনে এত জবার জোগান দেওয়াও সম্ভব হয় না। মূলত হাওড়ার বাগনান, কোলাঘাট, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর, পূর্ব মেদিনীপর, নদিয়া থেকেই ফুল আসে হাওড়ার ফুলবাজারে। তারপরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তা নিয়ে যাওয়া হয়। ফুলচাষিদের কথায়, পুজোর সময় থেকেই দাম বাড়ে সব ফুলের। কোনওটার কম। কোনওটার বেশি। এবারও হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement