shono
Advertisement

রাজ্যকে উপেক্ষার নির্দেশ ‘সংবিধান পরিপন্থী’, রাজভবনকে পালটা চিঠি উচ্চশিক্ষা দপ্তরের

বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্ষদের নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল রাজভবন।
Posted: 10:37 AM Jan 13, 2024Updated: 10:37 AM Jan 13, 2024

দিপালী সেন: রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্বে ফের নয়া মোড়। রাজ্যপালের সচিবালয় থেকে কার্যত উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে উপেক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের। রাজভবনের সেই চিঠির পালটা উত্তর দিয়ে শুক্রবার রাজভবনে চিঠি পাঠাল উচ্চশিক্ষা দপ্তর। যে চিঠিতে উচ্চশিক্ষা দপ্তর স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, রাজভবনের চিঠিতে উল্লিখিত মন্তব্য সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারার পরিপন্থী এবং আইন মোতাবেক রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে যোগাযোগ করার অধিকার উচ্চশিক্ষা দপ্তরের রয়েছে। 

Advertisement

যাদবপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যের দায়িত্বে বুদ্ধদেব সাউ থাকবেন কি না, তা নিয়েই রাজভবন ও উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অবস্থান পরস্পরবিরোধী। এই পরিস্থিতিতেই গত ৫ জানুয়ারি রাজ্যপালের সিনিয়র স্পেশ্যাল সেক্রেটারির তরফে রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল, নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে উচ্চশিক্ষা দপ্তর বিভিন্ন নির্দেশ দিচ্ছে। এবং তা পালনের আগে অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের আচার্যের দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে নিতে বলা হয়েছিল। এবং তার সঙ্গে হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েকটি নির্দেশের উল্লেখ করা হয়েছিল। যার সারমর্ম, রাজ্য সরকারের উপাচার্য নিয়োগ বা পুনর্নিয়োগের কোনও ক্ষমতা নেই। উপাচার্য নিয়োগ, পুনর্নিয়োগ বা অস্থায়ীভাবে নিয়োগ বা অপসারণের ক্ষমতা শুধুমাত্র আচার্যের রয়েছে। 

[আরও পড়ুন: ফের জঙ্গি হামলা কাশ্মীরে, পুঞ্চে জেহাদিদের ফাঁদে সেনার কনভয়!]

শুক্রবার রাজ্যপালের সিনিয়র স্পেশ্যাল সেক্রেটারিকে সেই চিঠির পালটা উত্তর দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন উচ্চশিক্ষা দপ্তরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার স্পেশ্যাল কমিশনার। তাতে জানানো হয়েছে, রাজভবনের চিঠিতে উল্লিখিত অযৌক্তিক মন্তব্যগুলি সংবিধানের ১৬৬(৩) ধারার পরিপন্থী। আবার যে আইনে আচার্য নিয়োগের বিধান রয়েছে, সেই আইনের বলেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে উচ্চশিক্ষা দপ্তর। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, এই নির্দেশ উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে স্ট্যাটাস-কো (স্থিতাবস্থা) বজায় রাখার কথা বলছে। 

যাদবপুরে ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তন অনুষ্ঠান হওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরা হয়েছে চিঠিতে।  বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তহবিল কীভাবে খরচ করা হচ্ছে, তা জানার এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ দেওয়ার অধিকারও আইনবলে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, কোনও আইন বা বিধিতে রাজ্যপালের সচিবালয়ের কোনও উল্লেখ নেই। রাজ্যপালের পদটি সাংবিধানিক হলেও, আচার্য একটি বিধিবদ্ধ পদ। তাই কোন বিধিবলে রাজ্যপালের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারি রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে চিঠি পাঠিয়েছেন, সে বিষয়ে জবাব তলব করেছে উচ্চশিক্ষা দপ্তর। বলা হয়েছে, উত্তর পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

[আরও পড়ুন: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা: অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ সিবিআইয়ের, নাম OMR সংস্থার দুই প্রধানের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement