সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্ভাবনা ছিলই। আর সেই সম্ভাবনাকে সত্যি করে বুধবার সকাল থেকে ‘নাটক’ শুরু হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh)। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিং ইস্তফা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে। এদিকে এদিন বাজেট অধিবেশন শুরু হতেই বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিতে থাকেন। এর পরই স্পিকার ১৫ জন বিধায়ককে বহিষ্কার করেন।
জানা যাচ্ছে, এদিন স্পিকারের কক্ষের ভিতরে ঢুকে স্লোগান দিতে থাকে বেশ কয়েক জন বিজেপি বিধায়ক। এর পরই তাঁদের বহিষ্কারের নির্দেশ দেন স্পিকার কুলদীপ সিং পাথানিয়া। বহিষ্কৃত বিধায়কদের অন্যতম বিরোধী দলনেতা তথা হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। এছাড়ও রণধীর শর্মা, বিপিনকুমার পারমার, হংস রাজ, বিনোদ কুমার-সহ আরও ১৪ জনকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস ছাড়লেন কৌস্তভ বাগচী, লোকসভার আগেই বিজেপিতে যোগ? নিজেই দিলেন ইঙ্গিত]
এদিকে এদিনই মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কংগ্রেস বিধায়ক বিক্রমাদিত্য সিং। পরে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”এমন কেউ যিনি ৬ বার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তাঁর মূর্তি স্থাপনের জন্য মল রোডে সামান্য জায়গাও দিতে পারছে না এই সরকার। এটাই আমার স্বর্গত বাবার প্রতি সরকারের সম্মানের চিহ্ন! আমরা আবেগপ্রবণ মানুষ। পদ নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক… আমি খুবই আঘাত পেয়েছি। রাজনৈতিক ভাবে নয়, আবেগের দিক থেকে।”
এদিকে বুধবার সকালেই হিমাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী নেতা জয়রাম ঠাকুর ও অন্য বিজেপি বিধায়করা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে আস্থা ভোটের প্রস্তাব পেশ করেছেন। দেশে মাত্র তিনটি রাজ্যে রয়েছে কংগ্রেসের সরকার। সেখান থেকে হিমাচলও হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে।