সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদ্যুতের বিল বকেয়া থাকার কারণে দিল্লির হিমাচল ভবন নিলাম করার নির্দেশ দিল হিমাচল প্রদেশ হাই কোর্ট। মঙ্গলবার উচ্চ আদালত আরও জানিয়েছে, যে সমস্ত আধিকারিকদের গাফিলতিতে বকেয়া অঙ্কের পাহাড় জমেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হবে। গোটা বিষয়টি নিয়ে সেভাবে মন্তব্য করতে চাননি হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। তবে কংগ্রেস সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি।
জানা গিয়েছে, একটি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার কাছে অন্তত ১৫০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে হিমাচল প্রদেশ সরকারের। প্রথমে ৬৪ কোটি টাকা বকেয়া ছিল। কিন্তু সেটা মেটাতে পারেনি সুখু সরকার। সেই বকেয়ার অঙ্কই এখন বেড়ে গিয়ে ১৫০ কোটিতে পৌঁছেছে। সূত্রের খবর, লাহুল-স্পিতি এলাকায় চেনাব নদীতে ৪০০ মেগাওয়াটের সেলি হাইড্রো প্রজেক্টের সঙ্গে এই মামলার যোগ রয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
গোটা বিষয়টিতে এর আগেও রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল হিমাচলের উচ্চ আদালত। বকেয়া না মেটালে আগামী দিনে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেও জানানো হয়েছিল আদালতের তরফে। শেষ পর্যন্ত হিমাচলের উচ্চ আদালত রায় দিয়েছে, হিমাচল ভবন এবার বাজেয়াপ্ত করে নিলামে তোলা হবে। সেখান থেকেই সংগ্রহ করা হবে বকেয়া অর্থ। পাশাপাশি হিমাচলের বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়ে সেই আধিকারিকদের চিহ্নিত করতে হবে যাদের জন্য এই বিপুল অঙ্কের বকেয়া জমেছে।
হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং বলেন, আদালতের নির্দেশ ভালো করে জেনে তার পরেই এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করবেন তিনি। তবে কংগ্রেস সরকারকে তোপ দেগে বিজেপি নেতা জয়রাম ঠাকুর বলেন, "হিমাচল ভবন নিলাম করাটা আমাদের রাজ্যের পক্ষে খুবই অপমানজনক। সরকার যদি এইভাবে আর্থিক বিষয়গুলোকে উপেক্ষা করে তাহলে আমাদের সমস্ত সম্পদই নিলাম হয়ে যাবে।" কোনও রাজ্যের ভবন নিলাম করার অর্ডার দিল সেই রাজ্যেরই হাই কোর্ট, এমন ঘটনাও নজিরবিহীন বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।