সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণতন্ত্র নিয়ে মোদি সরকারকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু তাঁরই পূর্বসুরি বারাক ওবামার গলায় শোনা যায় সংখ্যালঘুদের নিয়ে উদ্বেগের সুর। এরপরেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার একটি টুইটকে কেন্দ্র করে জোর শোরগোল শুরু হয়েছে।
নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে হিমন্ত লেখেন, ‘ভারতেও অনেক হুসেন ওবামা রয়েছে। অসম পুলিশ এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ করবে।’ এক সমালোচকের টুইটের জবাবেই এমনটা লেখেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। রোহিনী সিং নামের এক ইউজার হিমন্তকে এক হাত নিয়ে লেখেন, ‘এবার ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে ওবামার বিরুদ্ধে গুয়াহাটীতে এফআইআর করা হবে। অসম পুলিশ কি এবার ওয়াশিংটন যাবে?’
কেন এই টুইটযুদ্ধ? চারদিনের আমেরিকা সফরে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। হোয়াইট হাউস থেকে শুরু করে মার্কিন কংগ্রেস-সর্বত্রই সাড়ম্বরে অভ্যর্থনা পেয়েছেন তিনি। যৌথভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বক্তব্য রেখেছেন। তবে মোদির সফরের (USA) মধ্যেই একাধিকবার অস্বস্তি বাড়িয়েছে ভারতের মানবাধিকার প্রশ্ন। মার্কিন সেনেট ও কংগ্রেসের সদস্যদের ৭৫ জন মিলে ভারতের গণতন্ত্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাইডেনকে চিঠি দিয়েছিলেন। যদিও বাইডেন বলেছেন, ভারত ও আমেরিকার একটাই বৈশিষ্ট্য- ধর্মীয় বৈচিত্র্য।
[আরও পড়ুন: এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ে ঝলমল করছে তেরঙ্গা! মোদির সফরে আলোর মালায় জাতীয় পতাকা]
মোদির সফর চলাকালীনই বৃহস্পতিবার একটি সাক্ষাৎকার দেন বারাক ওবামা। তিনি বলেন, “মোদিকে আমি খুব ভাল করে চিনি। এখন যদি তাঁর সঙ্গে কথা হয়, তাহলে ভারতের সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রসঙ্গে আলোচনা করবই। এখন যদি সরকার তাঁদের অধিকার রক্ষা না করে তাহলে যেকোনোও সময়ে ভারতে ভাঙন ধরতে পারে। দেশের মধ্যে এইরকম বিভেদ হলে তার ফল কী হতে পারে তা সকলেই আন্দাজ করতে পারেন। ভারতের জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে সংখ্যালঘুদের অধিকার বজায় রাখতেই হবে।”