অভিরূপ দাস: উত্তরপ্রদেশের উলটো ছবি বাংলায়। মারামারি নেই। বরং দুই ধর্ম মিলেমিশে হল পৃথিবীর ‘প্রথম ইঞ্জিনিয়ারে’র পুজো। সম্প্রীতি সৌজন্যের অন্যরকম ছবি ধরা পড়ল কলকাতা পুরসভায়।
বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে পুরভবনের প্রতিটি বিভাগে পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল সোমবার। এদিন সকালে তা পরিদর্শনে বেরন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, পুর কমিশনার বিনোদ কুমার। প্রতিটি বিভাগ ঘুরে সেক্রেটারি ডিপার্টমেন্টে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ। সেখানে সেসময় ঠাকুরের জোগাড় যন্ত্র করছিলেন ওই বিভাগের কর্মী আফসারা মুমতাজ। পাশে দাঁড়িয়ে চন্দনা কাঞ্জিলাল, ইন্দ্রনীল লাহিড়ি। পুজোয় হিন্দুদের সঙ্গে কাজ ভাগ করে নিচ্ছেন সংখ্যালঘু মহিলা!
[আরও পড়ুন: চাপে নতিস্বীকার, ক্লাস প্রতি ১০০ টাকা সাম্মানিকের নোটিস প্রত্যাহার তপনের কলেজের]
এ ঘটনা দেখেই আফসারাকে কাছে ডেকে নেন মেয়র। বলেন, “এটাই হচ্ছে বাংলার সংস্কৃতি। এখানে বিশ্বকর্মা পুজোয় হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে হিন্দু মুসলমান। ইদের দিনেও একসঙ্গে আনন্দে মাতে দুই ধর্মালম্বী মানুষ।” এদিন পুজোর অঞ্জলি থেকে পঞ্চরত্ন বাছা সমস্ত কাজই হাতে হাত মিলিয়ে করেছেন আফসারা, চন্দনা। পুজো শেষে পাত পেড়ে ভোগও খেয়েছেন একসঙ্গে। কলকাতা পুরসভায় যখন এমন ছবি তখন উত্তরপ্রদেশের ঘটনায় মর্মাহত মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
উল্লেখ্য সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের বরেলিতে মন্দিরে প্রবেশ করার অপরাধে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে এক মুসলিম যুবককে। যার নিন্দে করে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, “বাংলায় এ ছবি নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ধর্ম যাঁর যাঁর উৎসব সবার। সেই বার্তা মেনে চলে কলকাতা পুরসভা।” ডেপুটি মেয়রের কথায়, “পুরসভা শতাধিক বছরের একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্য মেনে বিশ্বকর্মা পুজো সরস্বতী পুজো সমস্ত ধর্মালম্বী মানুষরা একসঙ্গে করে।”