সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মান্তকরণের খবর সংগ্রহে গিয়ে আক্রান্ত সংবাদমাধ্যম। প্রশ্ন করতেই মার। বুধবার ধর্মতলায় হিন্দু সংহতি মঞ্চের সদস্যদের ‘গুণ্ডামির’ ঘটনায় রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় সংগঠনের সভাপতি তপন ঘোষ-সহ পাঁচজনকে। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাংকশাল কোর্ট।
[শহরে প্রকাশ্যে ধর্মান্তকরণ কর্মসূচি হিন্দু সংহতির, খবর সংগ্রহে গিয়ে আক্রান্ত সংবাদমাধ্যম]
তপন ঘোষদের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা অর্থাৎ ৩০৭ ও ৩২৬ অর্থাৎ মারধর, এই দুটি ধারায় মামলা রুজু হয়। এদিন বিচারকের কাছে মক্কেলের জামিনের স্বপক্ষে সওয়াল করেন অভিযুক্তদের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য ছিল, যাঁরা আহত হয়েছেন তাদের আঘাত তেমন গুরুতর নয়। এই যুক্তিতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হোক। অন্যদিকে সরকারি আইনজীবী এই দুটি ধারার স্বপক্ষে সওয়াল করেন। সরকারপক্ষের বক্তব্য ছিল যেসব সাংবাদিকরা আহত হয়েছেন তাঁদের সরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তাঁদের আঘাত এবং শরীরের ঠিক কী অবস্থা তা চিকিৎসকরা বলতে পারবেন। অবস্থার গুরুত্ব বুঝে এবং অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজতে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। এর যুক্তি হিসাবে বলা হয় অভিযুক্তদের কেউ কেউ পালিয়ে গিয়েছেন তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। যাদের পরিবার ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে তাদেরকেও পাওয়া যায়নি। এই সব জানার জন্য পুলিশ হেফাজতে রেখে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। পাশাপাশি সরকারি আইনজীবী আদালতে জানান মারধরের সময় ভিড় থেকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। সবপক্ষের কথা শুনে বিচারক ধৃতদের চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারিতে ফের অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হবে।
[বৃদ্ধ বাবাকে বঁটির কোপ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত মদ্যপ ছেলে]
বুধবার ধর্মতলায় হিন্দু সংহতি মঞ্চর সমাবেশে ধর্মান্তকরণ করে নিয়ে প্রশ্ন করতেই রোষের মুখে পড়েন সাংবাদিকরা। তেড়ে আসেন ওই সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা। ভেঙে দেওয়া হয় ক্যামেরা। এমনকী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে অকথ্য গালিগালাজও চলতে থেকে। ওই দিন সভামঞ্চ থেকে উসকানিমূলক মন্তব্য করছিলেন সংগঠনের নেতারা। এই ঘটনায় দোষীদের যে রেয়াত করা হবে না তা জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন রাতে গ্রেপ্তার করা হয় তপন ঘোষ-সহ পাঁচজনকে।
[ত্রিপুরায় ‘সরকার রাজ’ শেষ করতে ‘দয়াল বাবা কলা খাবা’ গাইছে গেরুয়া শিবির]
The post সাংবাদিকদের মার, হিন্দু সংহতির সভাপতি তপন ঘোষের পুলিশ হেফাজত appeared first on Sangbad Pratidin.